রায়গঞ্জঃ একতারায় “বধ করিতে করোনারে, গোলা বারুদ লাগবে না রে, সচেতন হওয়া একমাত্র জরুরি, এসো ভাই দেশটারে করোনা মুক্ত করি তাড়াতাড়ি”-গান গেয়ে গেয়ে গ্রামগঞ্জের সচেতন করছেন রায়গঞ্জের লোকসঙ্গীত শিল্পী।
গ্রামগঞ্জের মানুষকে করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন করতে গান বেঁধেছেন উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট তরণীমোহন বিশ্বাস। গান বেঁধে থেমে থাকেননি তিনি। গান গেয়ে সাধারণ সচেতন করে চলেছেন তিনি। লককডাউন চলতে থাকায় রায়গঞ্জ ব্লকের কাশিবাটি গ্রামের বাসিন্দা উত্তরবঙ্গের লোকসঙ্গীত শিল্পী তরণীমোহন বিশ্বাস নিজের গ্রাম ছাড়া কোথাও যাচ্ছেন না। তিনি নিজের গ্রামের বাইরে প্রচারে না গিয়ে গানটি ইউটিউবে দিয়েছেন।
তিনি আশাবাদী, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তার গাওয়া গান সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সকলের একটা ধারণা আসবে। গোটা দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত চলছে লক ডাউন। লকডাউন সফল করতে যথেষ্ট তৎপর প্রশাসন। স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ, সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও ব্যবসায়ী সংগঠন সাধারণ মানুষকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে চলেছে। এর মধ্যেই প্রতিদিনই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে এবং এই রোগ যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী তরণীমোহন বিশ্বাস এক অভিনবপন্থা নিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে সচেতন করতে একটি সচেতনতামূলক গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন এবং গেয়েছেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে নিজের লেখা গান নিজেই সুর দিয়ে গান গেয়েছেন তিনি। গান বাধার পর প্রথম কয়েকদিন তিনি পায়ে হেঁটে গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গান গেয়ে সচেতনতার প্রচার করেন। রায়গঞ্জ শহরেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্ত লকডাউন শুরু হতেই সাধারণ মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। সাধারন মানুষ যাতে ঘরে বসেই সচেতনতামূলক গান শুনতে পারেন সেজন্য গানটি ইউটিউবে আপলোড করেন তিনি।
তরণীবাবু বলেন, করোনা ভাইরাস মারণ ব্যাধী। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সরকার ও বিভিন্ন সংগঠন মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করছে। তবুও দেখা যাচ্ছে কিছু অবিবেচক মানুষ অকারনে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আশা করি এই গানের মাধ্যমে অনেক মানুষের চেতন আসবে। এতেই আমার চেষ্টা সার্থক হবে।