মলয় দে নদীয়া:- ১৭৭২ সালে আজকের দিন অর্থাৎ ২২ মে হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আগামী ২০২২ সালে ২৫০ বছর জন্ম জয়ন্তী পালনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার। তবে এ বছর ২৪৮ তম জন্মদিন বর্তমান চরম সংকটময় মুহূর্তে আড়ম্বরের সাথে পালিত না হলেও, সারা ভারতে তার সৃষ্ট ৬৫ টা ব্রাহ্মসমাজের মতো শান্তিপুরের পালন হলো। যদিও সে সময় প্রায় ২৭৫ টি ব্রাহ্মসমাজ সক্রিয়তার সাথে কাজ করতো নিয়মিত।
এখনকার মতো হাজারো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেই সময় না থাকলেও তৎকালীন সময়ে সমাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সতীদাহ, বাল্যবিবাহ, স্ত্রী শিক্ষা, ইংরেজি শিক্ষার বিষয়গুলি নিয়ে সরব হতে দেখা যেত বিভিন্ন মনীষীদের। সমাজ সংস্কারক হিসেবে কাজ করার জন্য তাঁকে সমাজচ্যুত এমনকি পরিবার চ্যুতও হতে হয়েছিল ।
১৮৬৪ সালে ক্ষেত্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শান্তিপুর মতিগঞ্জ মোড়ে , বীরেশ্বর ব্রহ্মচারী ও যোগানন্দ ব্রহ্মচারী র সহযোগিতায় ব্রাহ্মসমাজ তৈরি হয়। “বঙ্গভূমি” ও “যুবক” পত্রিকায় তুলে ধরা হতো সমাজ সমাজ সংস্কারক হিসেবে একজন যুবকের কর্তব্য ও দায়িত্ব। অনাথ আশ্রম , স্ত্রী শিক্ষা, বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় এই ব্রাহ্মসমাজের হাত ধরেই।
সময়ের সাথে সাথে ব্রহ্মচারী পরিবারের নিত্যানন্দ ব্রহ্মচারী ,তপব্রত ব্রহ্মচারী এবং বর্তমানে অর্ঘ্য ব্রহ্মচারী ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। বর্তমান প্রজন্ম অর্ঘ্য ব্রহ্মচারী কর্মসূত্রে লন্ডনের বিষ্টল শহরে গৃহবন্দি আছেন। রামমোহন রায়ের মৃত্যু সেখানেই হয়, ওই মৃত্যু সমাধি তে নিয়মিত তিনি এবং তার দুই সহকর্মী অয়ন গাঙ্গুলী এবং দ্বীপায়ন সাহা প্রার্থনা করতে যান এবং তাদের প্রেরিত কিছু অর্থ দিয়েই আজ শান্তিপুরে ১৫০ জন প্রান্তিক মানুষের সহযোগিতা র হাত বাড়িয়ে দিল ব্রাহ্মসমাজ।