সোশ্যাল বার্তা : কেউবা দিচ্ছে রান্না করা খাবার, কেউবা বানাচ্ছে অসহায় মানুষের ঘর, কেউবা দিচ্ছে অসহায় মানুষের সমস্ত রকম পরিষেবা । কেউবা যোগাচ্ছে ভবঘুরেদের খাবার । একসাথে কাজ করে নজির গড়লো নদীয়ার কোভিড ১৯ ত্রাণ সমন্বয় মঞ্চ ।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশ বিপর্যস্ত, খেটে খাওয়া মানুষ দুবেলা দু’মুঠো অন্নের চিন্তায় কাতর। অনেকেই তার নিজের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন । দেশের এই দুর্দিনে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সংবেদনশীল কিছু মানুষের উদ্যোগে শুরু হয়েছে রাজ্য তথা নদীয়ার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বন্টন। এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মধ্যে সমন্বয় না থাকার ফলে ত্রাণ বন্টনের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্যহীনতা দেখা যাচ্ছিলো। কিছু কিছু অঞ্চলে একাধিক সংস্থা গেলেও বাকি কিছু অঞ্চল ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলো।
এই বিষয়কে সামনে রেখে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবী ডা: যতন রায় চৌধুরীর উদ্যোগে গত ১২ই এপ্রিল ২০২০ “কোভিড-১৯ ত্রাণ সমন্বয়” নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা হয়। বর্তমানে জেলার অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে এটি ত্রাণ সমন্বয় মঞ্চ নামে পরিচিত ।
নদীয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৬০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাব যোগদান করে এই ত্রাণ সমন্বয়ে । যারা এই বিপর্যয়ে লক ডাউনের নিয়ম মেনেই মাঠে নেমে দুঃস্থদের মূলত খাদ্যবস্তু দিয়ে সাহায্য করছেন। একটু সুষ্ঠু বন্টন, নিজেদের মধ্যে কাজের ও খবরের আদান-প্রদান, অভিজ্ঞতা বিনিময়, এগুলিই এই প্ল্যাটফর্মের মূল লক্ষ্য।
একটি ছাতার নিচে প্রত্যেকটি সংগঠন নিজেদের কাজের স্বাধীনতা বজায় রেখে, সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বণ্টনের এমন উদ্যোগ খুবই সময়োপযোগী।
এখন ও অবধি রাজ্যের মধ্যে এই রকম প্রয়াস প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে ।দেশের এই বিপদের দিনে দুঃস্থ সহ নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানোর এমন উদ্যোগ সত্যিই অভিনব।