মলয় দে, নদীয়া :- নদীয়ার রানাঘাট সড়কপাড়ার বাসিন্দা বাপি বিশ্বাসের পূর্বপুরুষের আদিবাড়ি ছিলো বাংলাদেশে। অবশ্য বাপি বাবু জন্মস্থান রানাঘাট। তার দুই সন্তানের মধ্যে জ্ঞানেন্দ্রনাথ বড়। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র । বাবার কাছ থেকে গল্প শুনেছিলো বাংলাদেশ পৈত্রিক ভিটায় খুব জাঁকজমক করে দূর্গা পুজার গল্প। কিন্তু সর্বস্ব ত্যাগ করে আসা এদেশে অর্থাৎ রানাঘাটে আর কোনদিনই পূজিত হয় নি। ছোট্ট জ্ঞানেন্দ্রনাথে সরল মনে বাবাকে প্রশ্ন করেছিল কেনো ? মাছের দোকানের কর্মচারীর সামান্য মাইনেতে যে সংসার চালানোর পর যে দুর্গাপূজা হয় না! সে কথা এড়িয়ে ছেলেকে উত্তর দিয়েছিলেন ” অনেক খরচ! তাই আমাদের নয় বড়লোকদের পুজো” কয়েক বছর ধরে জ্ঞানেন্দ্র মাথা থেকে নামেনি পুজোর ইচ্ছা! সে চিন্তা করেছিল প্রধান খরচ দুর্গা প্রতিমা যদি নিজে বানিয়ে নিতে পারি, তাহলে সামান্য ফলমূল বাবাকে আনতে বলে নিজেই পূজো সেরে ফেলবে! যেমন ভাবা তেমন কাজ দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে পড়াশোনা চাপ কম থাকায়, তৈরি করে ফেলেছে লক্ষ্মী গণেশ কার্তিক সরস্বতী দুর্গা প্রতিমা! তাও আকারগত ভাবে যথেষ্ট বড়। পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই ভিড় করে দেখতে আসে জ্ঞানেন্দ্রর ঠাকুর! পাল পদবি না থাকা সত্ত্বেও আগামীতে হয়তো জ্ঞানেন্দ্র ঠাকুর আমরা দেখতে পারি বিভিন্ন বারোয়ারী দূর্গামন্দিরে।