সোশ্যাল বার্তা : আজ ১৭ই যে, ২০২০। আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই জৈষ্ঠ্যের প্রখর দাবদাহে মাটি টগবগ করে ফুটছে। কোভিড ১৯ স্তব্ধ করে দিয়েছে জনজীবন। সংস্কৃতির পিঠস্থান নদীয়ার কৃষ্ণনগর । লক ডাউনের ফলে অনেকেই ভুলতে বসেছিল তারই কৃতি সন্তান দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের তিরোধান দিবসকে।
ভোলেনি “আমরা কৃষ্ণনগরবাসী” সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠীর সদস্যরা। লকডাউনের নিয়ম মেনেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই সভাপতি অরিন্দম দেব হাজির কবির জন্মভিটেই। চারিদিকে মলিনতা স্পষ্ট। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেকটাই শ্রীহীন হয়েছে জায়গাটি। জংলা গাছ বেষ্টনী তৈরি করে আগলে রেখেছে স্মৃতিস্তম্ভটিকে।
সময় নষ্ট না করেই হাতে হাতে পরিস্কার করা হলো কবির স্মৃতিসৌধটি। গ্রুপের অন্যতম সদস্য শুভঙ্কর ব্যানার্জি বাজার থেকে নিয়ে এলেন ফুল,মালা, ধূপকাঠি । তারপর অনাড়ম্বর মাল্যদান ও ধুপকাঠির প্রজ্বলনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো। উপস্থিত বাকি তিনজন সদস্য দীপ রায়, শুভব্রত মৈত্র ও শুভঙ্কর ব্যানার্জ্জীকে নিয়ে সভাপতি গাইলেন – ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা, গানের রেশ ধ্বনিত হতে লাগলো সারা এলাকায়। এবার কবির আবার চিরশান্তিতে ঘুমানোর কথা।
সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠী “আমরা কৃষ্ণনগরবাসী”র সভাপতি অরিন্দম দেব জানালেন তারা এই অংশটির মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছেন। লকডাউন উঠে গেলেই আবার জোরকদমে শুরু হবে সংস্কারের কাজ। কবির জন্মভিটে নববধুর সাজে সজ্জিত হয়ে উঠবে। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়ার আগেই আবার কবিকে তার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্মরণে নিয়ে আসতে “আমরা কৃষ্ণনগরবাসী” সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠীর সদস্যরা বদ্ধপরিকর।