ওয়েব ডেস্ক: বাঁকুড়া জেলা খাতড়ার মুড়াগ্রামের বাসিন্দা শ্রীপতি টুডু প্রান্তিক কৃষক পরিবারের সন্তান। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছোট। তিনি বাঁকুড়া জেলার ঝিলিমিলি হাইস্কুল থেকে প্রথম ভাষা হিসেবে সাঁওতালি নিয়ে মাধ্যমিক ও বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পন্ডিত রঘুনাথ মুরমু স্মৃতি মহাবিদ্যালয় থেকে সাঁওতালি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর ২০১৩ সালে পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডির ধসকা পন্ডিত রঘুনাথ মুরমু আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৪ সালে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম পন্ডিত রঘুনাথ মুরমু সরকারি মহাবিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন তারপর ২০১৬ সালে পুরুলিয়ার সিধো-কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি ভাষার অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এখন তিনি কলকাতার “ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড রিসার্চ (আইএলএসআর)-এর সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন।
আদিবাসীদের অধিকার সম্পর্কে কী লেখা আছে, তা জানার আগ্রহে সংবিধান পড়া শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই তার মাথায় আসে, দেশের সংবিধান নিজের ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে আরও অনেকে তা জানতে পারবেন। সে ভাবনা থেকে অলচিকি লিপিতে সংবিধান অনুবাদ করে ফেলেছেন পুরুলিয়ার সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁওতালি বিভাগের প্রফেসর শ্রীপতি টুডু। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, অনেকেই নিজেদের ভাষা শক্তিশালী করার কাজ করছেন , এমনই এক জন মানুষ পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার শ্রীপতি টুডু। তিনি সাঁওতাল সমাজের জন্য তাঁদের নিজস্ব লিপিতে সংবিধান অনুবাদ করেছেন। আমি তাঁর ভাবনা ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি ।
শ্রীপতি বাবু বিভিন্ন গনসংগঠন,ক্লাব, থেকে প্রতিনিয়ত সম্বর্ধনা পেয়ে চলেছেন এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়েরই কলা বিভাগের শিক্ষিকা সোনালি মুখোপাধ্যায়ের সহায়তায় রবীন্দ্রনাথের ৬৫টি কবিতা সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করেছেন । এছাড়াও ‘যুগ জিয়ৗড় অনড়হিঁয়ৗ কবি সারদা প্রসাদ কিস্কু’- (২০২১) ‘তুলৗজখা আখড়া’- (২০১৯)
‘ইসি জড় রুতি কাহনি’ – (২০২২) সহ বিভিন্ন বই তিনি সম্পাদক এবং লেখক হিসাবে কাজ করে চলেছেন আর এখন ও অর্নগল লিখে চলেছেন ।