মলয় দে নদীয়া:-তাঁতে বোনা কাপড় দিয়েই মাস্ক তৈরী করে বিক্রি করে তাঁতীদের অর্থ জোগাচ্ছেন নদীয়ার শান্তিপুরের একটি কোঃ অপারেটিভ সোসাইটি ৷ দীর্ঘ লক ডাউনে শান্তিপুর, ফুলিয়া, ধনেখালী, সমুদ্রগড় সহসমস্ত জায়গার তাঁত শিল্পের সাথে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে ৷ তাঁতীদের যে সমবায় সমিতি রয়েছে সেগুলির অবস্থাও খুবই খারাপ ৷ বছরের অন্য সময় ঐ সমবায় সমিতিগুলি থেকে তন্তুশ্রী তন্তুজ কাপড় কিনে নেয় ৷ কিন্তু এখন তন্তুজ কিংবা তন্তুশ্রী ও কাপড় কেনা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়ছে রাজ্যের সরকারী এবং বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে চলা সমবায় সমিতিগুলি ৷
এমতাবস্থায় শান্তিপুর পঞ্চরত্ন রোডের তন্তুশিল্প কোঃ অপারেটিভ উইভার্স সোসাইটি তাঁদের তাঁতীদের পাশে দাঁড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ৷ তাঁদের তাঁতীদের দ্বারা উৎপাদিত সম্পূর্ন সুতীর তাঁত শাড়িগুলি তাদের পরিবারের মেয়েদের দিয়ে মাস্ক তৈরী করাচ্ছেন ৷ আর সেই মাস্ক বিক্রি করে যে সামান্য পয়সা রোজগার হচ্ছে তা তাদের ১১জন তাঁতীর মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছেন ৷ কিন্তু সরকার সেভাবে পাশে না দাঁড়ানোয় আক্ষেপ শোনা গেলো ঐ সমিতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৷ ঐ কোঃ অপারেটিভ সোসাইটির সদস্যরা শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচর্য, শান্তিপুর পোরসভার পৌরপতি তথা মঞ্জুষার চেয়ারম্যান অজয় দের কাছে চরম অর্থ সংকটে ভোগা তাঁদের তাঁতীদের সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছেন ৷
এ প্রসঙ্গে ঐ সমবায় সমিতির কর্মী শুভদীপ দত্ত জানান যে তাঁদের কাপড় মূলত হাটে বিক্রি হয় ৷ কিন্তু হাট বন্ধ হওয়ায় কাপড় বিক্রি হচ্ছে না ৷ ফলে সমস্যা গভীর হচ্ছে ৷ এদিকে বাংলার অন্যতম বৃহৎ তাঁত কাপড়ের হাট শান্তিপুরের বঙ্গ ঘোষ ও জগদ্ধাত্রী তাঁত কাপড়ের হাট খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে ৷ সরকারী অনুমতি পেলে ঐ হাট খোলা হতে পারে বলে কাপড়ের হাট সূত্রে জানা গেছে ৷