কাজ হারা মানুষের সাহায্যে জেলায় জেলায় সেবা করে যাচ্ছে “ভ্রমর”

Social

সোশ্যাল বার্তা : করণা সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশজুড়ে চলছে লক ডাউন । বতর্মানে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। অভাবে জর্জরিত আমাদের সমাজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন । এই মহামারির ছোবল থেকে আমরা বাঁচবো কিভাবে জানি না তবে টুক টুক করে কিছু সাহায্য বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে এক অন্য রূপে দেখা গেলো টিম ভ্রমরকে।

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভ্রমর । সারা বছরই চলে তাদের সেবা কাজ । কৃষ্ণনগরের পাশে আদিবাসী গ্রাম ক্ষীরপুলিতে রয়েছে তাদের এক টাকার পাঠশালা । বতর্মানে তারা শুধু কৃষ্ণনগর নয় বাদকুল্লা, মুড়াগাছা, ভালুকা, জাহাঙ্গীরপুর ছাড়াও জেলার বাইরে কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, বাঁশদ্রোনি এমনকি পুরুলিয়া তে ও কাজ করছে ।

গতকাল ও তারা পুরুলিয়ার দড়দা গ্রামে ৫০ টি পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে নিত্য খাদ্য সামগ্রী আবার আজ হাওড়াতে আজ ২৫ টি পরিবারের জন্যে রয়েছে ফল ও আনুষঙ্গিক যা তারা রোজা ভাঙার সময় দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে । কিন্তু আমাদের প্রশ্ন ছিল হচ্ছে টা কিভাবে? এখন তো লক ডাউন চলছে। কিভাবে জেলার বাইরেও কাজ চলছে।প্রশ্নবান ছোড়া হল ভ্রমরের এক সদস্য সুদীপ সরকারের দিকে।

সুদীপ সরকার বলেন “আসলে দেখুন বর্তমান যা অবস্থা আমরা কোথাও বেরিয়ে দূরে কাজ করতে পারবো না। তাই আমরা একটা সেগমেন্ট চালু করি Member’s Call. প্রথমে সদস্য – সদস্যাদের বলা হয়েছিলো তাদের বাড়ির কাছে মার্ক করতে যে কাদের প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মেম্বার রা রয়েছে তারা সেখানে যাদের প্রয়োজন তাদের কে প্রয়োজন ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় দ্রব্য দিতে শুরু করে সংগৃহীত ফান্ড আমরা তাদের কে এখান থেকে পাঠিয়ে দি। এর পরে আমাদের যে শাখা গুলি রয়েছে তাদের ও কিছু স্বাধীন সত্ত্বা রয়েছে তারা ও তাদের মত করে তাদের চেনা জানা যেখানে রয়েছে সেখানে স্থানীয় ভাবে তাদের কে দিয়ে সার্ভে করে সেখানে কাজ করতে শুরু করে। এবং যা অর্থের প্রয়োজন এই কাজ করতে কিছু ক্ষেত্রে তারা পুরোটাই সংগ্রহ করে ফেলে কাজ করে ফেলে আবার কিছু ক্ষেত্রে এখান থেকে সাহায্য যায় আবার হয়তো দুই এ মিলেই হয়। এর ফলে ওদিক থেকে এদিকে কেউ আসবে না আর এদিক থেকে ওদিকে কেউ যাবে না।
এর ফলে কাজ কাজের মতো হয়, সামাজিক দুরত্ব থাকে, সংক্রমণের ঝুকি কমে যায়,আবার কিছু ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে কাজের মনোভাব বেড়ে যায়। আরেকটা কথা কলকাতা শাখা রবিবার দিন ও মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাতে ১৫০ জনের সারা বেলার খাবারের একটা ব্যবস্থা করতে চলেছে রবিবার। মজার না। কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ। ফর্মুলা কিন্তু ওখানেই “।

ত্রাণ বা সাহায্য মূলক কাজ করার ক্ষেত্রে সেবামূলক সংগঠনগুলি যদি ভ্রমরের মতো সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা গ্রহন করে তাহলে হয়ত দূর-দূরান্তের কাজ হারা  শ্রমজীবী মানুষ তাদের এই বিপদের মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবেন ।

Leave a Reply