নিউজ সোশ্যাল বার্তা: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন । সরকার এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে । কিন্তু ছোট ছোট শৈশব ? করোনা কি ? লকডাউন কি? সেটা ওরা জানেনা,বোঝেওনা ! ওদের বাবা বা মায়েদের কাজ নেই, ফলে রোজগার নেই। কেউ প্যান্ডেল বানান,কেউ দিনমজুর,কেউ রাজমিস্ত্রীর যোগাড়ের কাজ করেন,কেউ রিক্সা চালান। কাজ হারিয়ে সব এখন বাড়ীতে বসে। লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও কাজ পাচ্ছেন না এই সমস্ত শ্রমিক।রোজগার না থাকার কারণে ছেলেমেয়েদের ভালো করে খাওয়াতে পারছেন না। নিজে খেতে না পারলেও সন্তানকে ভালো খাওয়াতে মন চায় সব বাবা-মায়ের । এই জটিল পরিস্থিতিতে পরিবারে সন্তান নিয়ে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন এইসব শ্রমিকেরা। এদিক ওদিক থেকে সেদ্ধভাতের ব্যবস্থা হলেও জুটছে না পুষ্টিকর খাদ্য। বাচ্চা ছেলে মেয়েগুলো পেট পুরে খেতে পারছেনা, ভাতের সাথে মেখে খাওয়ার মতো কিছু না পাওয়ায়। ওদের কি দোষ? ওরাতো শিশু। বাবার আয় কি,করোনা কি,লকডাউন কি ওদের জানার, বোঝার কথা নয় ।সেদ্ধ ভাতই মুখ বুজে খেতে হচ্ছে ওদের। মা বাবার ইচ্ছে থাকলেও ভালো খাওয়াতে পারছেন না ছেলে মেয়েকে।
গতকাল এই সমস্ত বাচ্চাদের জন্য এক অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কৃষ্ণনগর আনন্দধারা’ ।
গতকাল প্রান্তিক পরিবারের এই সমস্ত শিশুদের কিছুটা ভালো রাখার জন্য দুপুরের আহারের ব্যবস্থা করলেন এই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর রথতলা থেকে এক দম্পতি দেবশ্রী সাহা ও বিপ্লব সাহা এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিলেন।
গতকাল দুপুরে ৬০ টিরও বেশী শিশুদের জন্য ব্যবস্থা করলেন ডিমের ঝোল ভাত।
আনন্দধারার উদ্যোগে কৃষ্ণনগরের খুব কাছেই দোগাছী মহামায়া মন্দির পাড়াতে ৬০ জনেরও বেশী শিশুকে বসিয়ে খাওয়ানো হলো। সদস্যদের পাশাপাশি নিজে হাতে পরিবেশনও করলেন তাঁরা।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক রাজু পাত্র তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন । তিনি আরো বলেন “সকলে একটু একটু করে এগিয়ে আসলে আমরা পারবো এই করোনা সংকট থেকে মুক্ত হতে।”
সংগঠনের সদস্যদের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন ” আড়াল থেকে দিনরাত পরিশ্রম করছে সৌগত চক্রবর্তী, সুগত চক্রবর্তী, শৈলেন বিশ্বাস, দীপক পাত্র,অর্ক প্রামাণিক, তরুণ বিশ্বাস, সঞ্জয় পাল, মধু দাস,নিমাই, সানু সরকার,নগেন পাহাড়ি এবং আরও অনেকে সকলকে কুর্নিশ জানাই ।”