দীপ রায় ,নদীয়া : ঘুড়ির সূতোয় বিভিন্ন সময়ে পাখি আটকে যায় আবার আটকে থেকে শেষ পর্যন্ত মারাও যায়। গত বুধবার নদীয়ার কৃষ্ণনগর রেঞ্জ অফিস খবর পায় নবদ্বীপে এমনই একটি পাখি আটকে আছে। এলাকার অধিবাসীদের সহযোগীতায় পাখি উদ্ধার করে বন দপ্তরের কর্মীরা। উদ্ধার করা পাখিটি নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণনগরে। ছেড়ে দেওয়া হবে গভীর অভয়ারণ্যে।
অনেক জায়গায় এর পরিচিতি নিশি বক নামে। অনেকে আবার বাজকা পাখিও বলেন। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।সমগ্র পৃথিবীতে ৫ লাখ ১০ হাজার থেকে ৩৬ লাখ পূর্ণবয়স্ক নিশি বক রয়েছে।
অপরিণত পাখিদের মাথায়, ডানা এবং পিঠে ধূসর-বাদামী রঙের বরই থাকে, অনেক ফ্যাকাশে দাগ থাকে। এদের নিচের অংশগুলো ফ্যাকাশে এবং বাদামী বর্ণের। তরুণ পাখির চোখ কমলা এবং নিস্তেজ হলুদ-সবুজ পা।
পুকুর, দিঘী, ছোট নদী, খাল, বিল, হ্রদ, জলাভূমি, ম্যানগ্রোভ ও কৃষিভূমি, বিশেষত ধানক্ষেত নিশি বকের প্রধান বিচরণস্থল। পরিযায়ী অবস্থায় এদের মোহনা, শুকনো ঘাসভূমি ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতেও দেখা যায়।
এখনও এটি বিরল প্রজাতির পাখির তালিকাভুক্ত না হলেও সবাই মিলে পাখিদের বাঁচানোর চেষ্টা করে যেতে হবে তাহলেই প্রকৃতির সৌন্দর্য ও ভারসাম্য বজায় থাকবে ।