নিউজ সোশ্যাল বার্তা: করোনা ভাইরাসের থাবায় স্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। নাগরিক সমাজকে রক্ষা করতে বিভিন্ন দেশে চলছে লক ডাউন । ভারতবর্ষ তথা আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও চলছে লকডাউন ।
লক ডাউনের শুরু থেকে আজ অবধি বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অমিল । বিভিন্ন জায়গা থেকে কালোবাজারির কথাও শোনা গেছে । করোনা যুদ্ধে যারা সামনে থেকে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী , পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এলো নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের “কৃষ্ণনগর হাইস্কুল প্রাক্তনী সংগঠন” ।
প্রাক্তনী ও বর্তমান ছাত্রদের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ের রসায়নাগারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম কানুন মেনেই তৈরি হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ।
লক ডাউনের প্রথম থেকেই তারা খাদ্যসামগ্রী বিলি করেছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে । গতকাল বৃহস্পতিবার ৫৫০ টি বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার “পরশ” কৃষ্ণনগরের ত্রাণ সমন্বয় মঞ্চের স্রষ্টা বিশিষ্ট সমাজসেবী ও চিকিৎসক ডা: যতন রায় চৌধুরী মহাশয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য । কোভিড ১৯ ত্রাণ সমন্বয় মঞ্চে রয়েছে নদীয়া জেলার ৫৫ টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । ত্রাণ সমন্বয় মঞ্চের মাধ্যমেই প্রতিটি সংস্থার কাছে পৌঁছে যাবে ১০ টি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ।
আজও ৩০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তারা পৌঁছে দিলেন নদীয়া জেলার জেলা পরিষদের সচিব শ্রী সৌমেন দত্ত মহাশয় এর হাতে।
এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রাক্তনী অমরনাথ দত্ত বলেন ” আমরা আগে জেলার প্রায় ১৭০০টি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি । এখন যে স্যানিটাইজার আমরা তৈরি করছি সেগুলি আমরা স্বাস্থ্যকর্মী’, পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে দেব। ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দও। বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের এই ভূমিকায় খুশি কৃষ্ণনাগরিকবৃন্দ ।