দেবু সিংহ ,মালদা : সরকারি কোয়ারান্টিন সেন্টারে বাসি খাওয়ার দেওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।
শুক্রবার রাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর আইটিআই কলেজের কোয়ারান্টিন সেন্টারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয়েছে। প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন বন্দী পরযায়ী শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমন রুখতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। আর এই লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছেন মালদা জেলার হাজারো শ্রমিক। তবে কোনো ক্রমে জেলায় ফিরেছে হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক।
তবে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিধিনুযায়ী ভিন ফেরতদের ১৪ দিন দিনের হোম কোয়ারান্টিনে থাকা নির্দেশ দিয়েছেন। তবে শ্রমিক স্বইচ্ছায় দেশের স্বার্থে এলাকা ও নিজের পরিবারের স্বার্থে আবদ্ধ করেছে নিজেকে সরকারি কোয়ারান্টিন সেন্টারে।
তবে শুধু কোয়ারান্টিনে গুজে দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের,বালাই নেই সামাজিক দুরত্বের। এক ঘরে এক শয্যায় গাদাগাদি করে নিদ্রা পরিপূর্ন হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ করছেন হোম কোয়ারান্টিনে থাকা শ্রমিক আব্দুল নৌসাদ।
এছাড়াও কোয়ারান্টিনে তিনবেলা আহার জুটলেও তা নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠছে।
তবে শুক্রবার শ্রমিকদের রাতের খাওয়ার বাসি দেওয়া হলে প্রতিবাদ করেন তারা। আর তার জেরেই কোয়ারান্টিন রক্ষনাবেক্ষন কারীদের হাতে আক্রান্ত হয় বেশ কয়েকজন শ্রমিক বলে অভিযোগ। মদ্যপ অবস্থায় খাওয়ার দিতে এসে এমনই শ্রমিকদের উপর ইংরেজের অত্যাচারে শাসিত হয় শ্রমিকরা বলে অভিযোগ করেছেন পরযায়ী রঞ্জিত গোস্বামী।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে এলাকার আইটিআই কলেজ কোয়ারান্টিন সেন্টার তৈরী করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বর্তমানে বিহার রাজ্য সহ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার প্রায় ৫০ জন শ্রমিক রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেন্টারের পাশে থাকা এক বাসিন্দা করুণা কুন্ডু জানালেন গতকাল রাত্রে আইটিআই কলেজ তৈরি হওয়া ওই সেন্টারে গন্ডগোলের শব্দ আমরা শুনতে পাই। এরপরই হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে প্রচুর পুলিশ আছে সেন্টারে। আমরা বুঝতে পারিনি ভিতরে কি হয়েছে।
এইভাবে বাসি খাওয়ার খেলে শারীরিক অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে শ্রমিকদের বলে অনুমান করছেন হরিশ্চন্দ্রপুর বাসীর একাংশ। শ্রমিকরা সরকারি কোয়ারান্টিনে সুরক্ষিত রয়েছে কি? প্রশ্ন তুলছেন হরিশ্চন্দ্রপুর বাসী।
এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বান বসু জানান গন্ডগোলের খবর পেয়েছিলাম গতকাল রাত্রে। রাতের খাবার নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়েছে। সাধারণত পলি প্যাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে খাবার একটা গন্ধ হচ্ছে। আজ থেকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এ খাবার দেওয়া হবে। মারধর এর যে অভিযোগ উঠে আসছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।