মলয় দে নদীয়া : করোনা মোকাবিলায় সারা দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। প্রান্তিক মানুষের সাহায্যে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগেই , ম্যাটাডোর ভর্তি করে গ্রামের পথে ধুলো উড়িয়ে কখনোবা বটগাছের তলায়, কখনো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বসেছে খাদ্যভান্ডার রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামে।
কোথাও ডাকছেন ! ফুলমতি দি বাড়ি আছো নাকি? পঞ্চাশোর্ধ আদিবাসী পৌঢ়ার জবাব “কে আসেছে! ও বড় বুড়ি, পিড়াহা টা দে। তা আখন তো ভোট নয় বাপু।”
উত্তরে “কাজকর্ম নেই সকলের, কেমন আছে শরীর তাই জানতে এসেছি!”
“আর সে কথা বইলতে, দুটো কটা চাল পালম, কবে ফুরায় গেছে, বড় নূনু টা, পরের বাড়িতে লাগাড়ে খাটে,তারাও এখন জোনে লিছেনাই।”
রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভার বেশকিছু আদিবাসী গ্রামে এভাবেই প্রতিদিনের মতো আজও পৌঁছালেন, নাতপুড়া,হূদার মতো বেশ কিছু গ্রামে। ভোটার স্লিপ বাড়িতে পৌঁছানোর মত তৎপরতায়, প্রতিদিন সন্ধেয় বাড়ি বাড়ি পৌঁছাচ্ছে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহের স্লিপ। পরের দিন সকাল থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে বিতরণ।
লকডাউন এরপর থেকে নিজের শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করেও , প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে পৌঁছাচ্ছেন বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দার। আজ সেই চিত্রই ধরা পরলো, আমাদের ক্যামেরায়।