নিস্তব্ধতা। ভারাক্রান্ত হৃদয়। চারিদিকে বিষণ্ণতা বিষাদের সুর। আপামর বাঙালি আজ আবার অপেক্ষারত আগামী বছরের জন্য। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার রাজবাড়ি গুলি সারাবছর অধিকাংশ সময় নিরব থাকলেও এই পুজোর কয়দিন মহাসমারোহে চলে দেবীর বন্দনা। গতকাল বিজয়া উপলক্ষে সিঁদুর খেলায় মেতেছেন রাজ্যবাসী।
নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতেও সিঁদুর খেলায় মাতলেন কৃষ্ণনাগরিকেরা সঙ্গে রাজপরিবারের রাজমাতা রানী -অমৃতা রায় সঙ্গে স্বামী ও সন্তান ।এক্সিবিশনে রয়েছে রাজপরিবারের ব্যবহৃত সামগ্রী । রুদ্র রায় ১৬০৩ সালে নদীয়ার রাজবাড়ীতে প্রথম পুজো শুরু করেন। দেবী পরিচিত হন এখানে রাজ-রাজেশ্বরী নামে। রাজ-রাজেশ্বরী মাতা যুদ্ধবেশি। হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র।
কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ীর পুজোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল-সন্ধিপূজা। সন্ধি পূজার সময় ঢাকের তালের সঙ্গে ধোঁয়ায় ভরে যায় চারিদিক। আর সবার বিশ্বাস তখনই মা অাসেন রাজবাড়ীতে। দশমীর সিঁদুর খেলা খুবই আকর্ষণীয়। বাচ্চা থেকে যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার ঢল এই কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ীতে।রাজ-রাজেশ্বরী মাতা কে একটু দেখার জন্য। এলাকার মহিলারা অংশগ্রহণ করেন এই সিঁদুর খেলায় ।
হৃদয়ে দুঃখ থাকলেও আসছে বছর আবার হবে এই প্রত্যাশা নিয়ে কৃষ্ণনাগরিকেরা আবার দিন গুনতে শুরু করেছেন।