মলয় দে নদিয়া: ডায়াবেটিসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে পিকনিক করে মহা ভোজ দিলেন গৃহশিক্ষক নিতাই প্রামানিক। বছর যখন ২৪ তখনই সুগার ধরা পড়েছে। তারপর থেকেই ক্রমাগত ইনসুলিন এবং ওষুধের উপর থাকতে হয় তাকে। মনে চাইলেও ভালো-মন্দ খেতে পারেন না। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই মধুমেহ রোগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন গৃহ শিক্ষক নিতাই প্রামাণিক। আর তাই তার ইচ্ছা নিজে যখন খেতে পারেন না অন্যান্যদের বছরের প্রথমে পিকনিক করাবেন। ডায়াবেটিসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরের প্রথমে অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগিসহ অনান্যদের ভুরিভোজ করালে নিজের বাড়িতে ডেকেই। শুধু এলাকার লোকই নয় দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য লোক এলেন গৃহ শিক্ষকের পিকনিকে। নদিয়ার পলাশী পাড়ার বিষয় গৃহ শিক্ষক নিতাই বাবু অবিবাহিত। তবে মুখে কিন্তু লাগাম টেনেছেন তিনি। প্রত্যেক সময় চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে তিনি চলে থাকেন। আর এমন এক কঠিন ব্যাধি নিয়েও যে অর্ধশতবর্ষ অতিক্রম করা যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ নিতাই বাবু নিজে। আর সেই ইচ্ছেতেই আজ তিনি এমন আয়োজন করেছেন। শুধু সুস্থ মানুষরাই নয় অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীরাও কব্জি ডুবিয়ে খেলেন নিতাই বাবুর পিকনিকে। অনন্য ডায়াবেটিস রোগীদের নিতাই বাবু এই বার্তায় দিলেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে একদিকে যেমন খাওয়া দাওয়াতে রাজ টানতে হবে তেমনি প্রাতভ্রমণ থেকে শুরু করে শারীরিক কসরত করলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা যাবে। রাজ্যের বিভিন্ন ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতি এমন বার্তা দিতেই নিতাই বাবুর এমন অভিনব উদ্যোগ। তবে গৃহ শিক্ষক নিতাই বাবুর এই পিকনিকের মেনুতে ছিল সাদা ভাত থেকে শুরু করে চিকেনের ঝোল, মাছের ঝোল চাটনি পাপড় মিষ্টি। এই পিকনিকের মাধ্যমে তিনি আরো পাঁচটা মানুষকে বার্তা জানালেন সকল ডায়াবেটিস রোগীরা যাতে সকাল বিকেল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা করেন এবং খাওয়া-দাওয়াতে রাস টানেন। তাহলেই তার মত অর্ধশত বর্ষ নয় শত বর্ষ বেঁচে থাকা সম্ভব।