জনধন যোজনায় অর্থপ্রাপ্তির সুস্পষ্ট তথ্যের অভাবেই কি ব্যাঙ্ক গুলিতে ভিড় ?

Social

মলয় দে নদীয়া:-২০১৫ সালের পর থেকে গঠিত হওয়া মহিলাদের জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্টে বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে ৫০০ টাকা প্রাপ্তির নানান তথ্যর ফলে প্রায় প্রত্যেক ব্যাংকগূলির সামনে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভিড়  ।

অনেক পুরুষ সদস্য দিনের বেশ খানিকটা অতিক্রম করার পরে জানতে পারছি এটা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। একাউন্ট নাম্বারের শেষ অক্ষর অনুযায়ী প্রাপ্ত অর্থ নির্দিষ্ট দিনে না এসে প্রায় প্রতিদিনই একবার করে খোঁজ নিচ্ছেন টাকা

ঢুকলো কিনা! এ ব্যাপারে অবশ্য গ্রাহকরা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির মধ্যে, মাইকিং, পোস্টারিং, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে লাইন নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক বিষয় উপস্থাপিত করছেন। অন্যদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গ্রাহকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট খুলে কর্তৃপক্ষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করিয়ে, জীবাণুমুক্ত যন্ত্রের মাধ্যমে টাকা পরীক্ষা করে নেওয়া, ব্যাংকের মধ্যে একজন একজন করে প্রবেশ করানো, তাদের লেনদেন সম্পর্কিত নানা তথ্য জানানো, নিজের জীবনের ঝুঁকি থাকায় গ্রাহকের ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার আগে হাত সানিটেশন করা সহ একাধিক চাপে নাজেহাল কর্তৃপক্ষ।

তারা জানান তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়টি দেখার কাজ তাদের। কিন্তু বাইরে নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়টি প্রশাসনের।
এ বিষয়ে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় , প্রতিটি শাখাতে দুটি করে সিভিক ভলেন্টিয়ার দেওয়া থাকলেও তিন চারশ জনকে নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
গ্রাহকদের মধ্যে বেশিরভাগ অংশেরই বিভিন্ন জমাকৃত অর্থ থাকলেও , মূলত জনধন প্রকল্পের  ৫০০ টাকা তুলতে এসেছেন। তারা কেউ কেউ জানেন , ১০ তারিখের মধ্যে টাকা না তুললে , সরকার ফেরত নিয়ে নেবে টাকা। অনেকে জানেন শুধু মাত্র ৫০০ টাকাই তুলতে হবে একদিনে, সপ্তাহের খরচ বাবদ দুই তিন হাজার টাকার জন্য আর একদিন আসতে হবে। আজ শুরু ৫০০টাকা তোলার দিন। এইরকম নানা অদ্ভুত ধারণা গ্রাহকদের পরিষ্কার করতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সামাজিক বিভিন্ন সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী, প্রশাসন অন্য কিছুর উপরে নজর দিলেও আসল রহস্য উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ ভোর পাঁচটা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সময় ব্যয় মূলত এক প্রকার গুজব বলাই চলে।
অধিকাংশ জনগণেরই একটি বক্তব্য লকডাউন তখনই সম্ভব যখন সমস্ত পরিষেবা মিলবে বাড়িতে বসেই।

Leave a Reply