পথ কুকুরদের আহার যোগাতে পথে গৃহবধু

Social

মলয় দে নদীয়া:-নদীয়া জেলার শান্তিপুর শ্যামবাজার নিশ্চিন্তপুরের মধুমিতা দাসের সন্তান, দুটি কন্যা একজন শুভাঙ্গী অন্যজন বুজো। দ্বিতীয়জন অবশ্য পোষ্য সারমেয়। তবে এভাবেই বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন গৃহবধূ মধুমিতা। পেশায় ছোট কাপড়ের ব্যবসারত স্বামীর কাছে গহনা শাড়ি নয় বায়না একটাই। বুজোর তিন-চারজন পাড়ার বন্ধুকে রীতিমত তিনবেলা খাবার জোগাড় করতে হবে।

চলছে লকডাউন গৃহবন্দি সময়সীমা সম্পর্কে ভীত হয়েই সকলে হয়েছে পরিবার কেন্দ্রিক, সঞ্চিত যাকিছু সবটাই আগামীতে দুর্দিনের জন্য। তা থেকে সারমেয়দের ভাগ দেওয়ার পক্ষপাতি এই সংকটময় মুহূর্তে হয়তো অনেকেই নন। পাতের উচ্ছিষ্ট নয়, রীতিমত মুরগির মাংসমাংস, মাছ, খাসির টেংরি নানা স্বাদের রেসিপি করে প্রতিদিন বেরিয়ে পড়ছেন রেল স্টেশন, বাইপাস মোড় ,হসপিটালের মত কিছু জায়গায় যেখানে বাড়িঘরের সংখ্যা কম।

কাশ্যপপাড়ার আর এক গৃহবধূ বিশাখা ভট্টাচার্য্য গোস্বামী , একমাত্র মেয়ে কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় নাতি এবং পাড়ার ৬-৭ টা সারমেয় নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে, খানিকটা হলেও ভূলেছেন করোনা আতঙ্ক। শুধুমাত্র তিনবেলা খাওয়ার আয়োজন নয়, সকালের টিফিন, বিকেলের টিফিন মুড়ি বিস্কুট ও যোগান রাখেন এই গৃহবধূ।
নিন্দুকেরা যাই বলুক! তার কথা অনুযায়ী প্রত্যেক পাড়ার একজনও কেউ দায়িত্ব নিলে! অভুক্ত থাকবে না ওরা।

Leave a Reply