মলয় দে নদীয়া:- কবিগুরুর জন্ম দিবসের ব্যাপ্তি ঘটে এখন পরিণত হয়েছে উৎসবে। প্রথমে ছোট থাকলেও পরবর্তীকালে প্রচার এবং প্রসার ঘটে এ ধরনের অনুষ্ঠানে স্থান পান নামিদামি বহিরাগত শিল্পীরা, ব্রাত্য থেকে যান নতুন শিল্পীরা অথবা সেভাবে কবিতা গান আবৃত্তি নাচ শেখা না হলেও। দীর্ঘদিন ধরে নানা অনুষ্ঠান দেখে রবীন্দ্র আবেগ নিয়ে মনের অন্তরালে বহিঃপ্রকাশের সুপ্ত বাসনা জাগে অনেকের মনে। আর সেখান থেকেই তৈরি হচ্ছে ঘরে ঘরে রবীন্দ্রচর্চা।
নদীয়ার শান্তিপুরের চিলেকোঠায় রবীন্দ্রনাথ ! শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে, নাচ গান আবৃত্তি গীতি আলেখ্য বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন সবটাই যারা পরিবেশন করলেন তারা একেবারেই আনকোরা। তাদেরই গৃহ শিক্ষক এবং পরিবারবর্গের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে দেখলেন কোনদিন না শিখেও শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথকে ভালোবেসে কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত করা যায়। একেবারে ছোট্ট শিশু ও রঙিন কাগজের ছিকলি বানিয়েছে, কিভাবে মায়েদের ওড়না দিয়ে মঞ্চ উপস্থাপিত করতে হয় তাও সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব সৃজনশীলতা, ছোট ছোট হাতে আলপনা দেওয়ার শিল্পত্বও ফুটে উঠলো এই প্রথমবার।
এই অনুষ্ঠান করার জন্য বন্ধুদের মধ্যে এক সপ্তাহ ধরে চলে আয়োজন, বাঙালিয়ানা বজায় রাখতে ছেলেরা ধুতি মেয়েরা শাড়ি পরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ তাদের কাছে এক সম্পূর্ণ নতুন আনন্দঅনুভূতি। সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে তাদের জন্য রইল শুভকামনা এভাবেই ঘরে ঘরে রবীন্দ্রচর্চা বাড়তে থাকুক তৈরি হোক নতুন প্রজন্মের শিল্পী।