ক্ষতিকারক প্লাস্টিক বর্জনের উদ্দেশ্যে এগিয়ে এলো কৃষ্ণনগর বি. এড. কলেজের প্রাক্তনীরা।

Social
  • এবারে ক্ষতিকারক প্লাস্টিক বর্জনের উদ্দেশ্যে এগিয়ে এলো কৃষ্ণনগর বি. এড. কলেজের প্রাক্তনীরা। গত ২১শে সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর বি.এড কলেজের সেমিনার হলে তারা “গো গ্রীন নো প্লাস্টিক,দেন এভরি থিং ইজ ফান্টাস্টিক” এই স্লোগান নিয়ে তাদের এই মহৎ কর্ম শুরু করে। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সভাপতি মাননীয় সুব্রত চ্যাটার্জী মহাশয় ,সম্পাদক মাননীয় অমিত মল্লিক মহাশয়,ভাইস প্রিন্সিপাল ড.সন্তোষ মুখার্জি মহাশয় সহ কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ ।সবাই প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক দিকগুলি তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে পাটজাত বা কাগজের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে অঙ্গীকার বদ্ধ হন। এই সচেতনতা শিবিরের মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলার শিল্প দপ্তরের আধিকারিক মাননীয় পীযূষ সাহা মহাশয়। তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেন প্লাস্টিক কিভাবে-বাস্তুতন্ত্রে ,জলবায়ুতে,সমাজে,পরিবেশে আঘাত হানছে।তিনি বুঝিয়ে দেন প্লাস্টিক যেমন আমাদের প্রাণীকুলের প্রতি বিশেষ হানিকর,তাই বিকল্প পন্থা হিসাবে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা খবরের কাগজ দিয়ে ব্যাগ তৈরি করছে যা বর্তমান বাজার মূল্য খুবই কম,পাশাপাশি তা দ্রুত পচনশীল। এরপর গত ২৪শে সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর বি .এড কলেজের প্রাক্তনীদের উদ্যোগে- অন্যতম সদস্য ও সম্পাদক পেশায় শিক্ষক হিমাদ্রি সিংহরায় ও সহযোগী দীপল রায় ,বিজিত ,রিক্তম ,অর্ক সবার উপস্থিতে কৃষ্ণনগর হাইস্কুলের ছাত্রদের মধ্যে প্লাস্টিক নিয়ে সচেতনতার জন্য সেমিনারের আয়োজন করা হয় । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাননীয় উৎপল ভট্টাচার্য মহাশয় সুন্দর ভাবে ছাত্রদের মাঝে প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরেন।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘সবুজ বাঁচাতে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রদের নিয়ে সবুজ বাহিনী গড়ে তুলেছি যাদের কাজ বিদ্যালয়ে গাছ লাগানো ও তার পরিচর্যা করা। তাই একই রকম ভাবে সবুজ রক্ষা করতে হলে আমাদের ক্ষতিকারক প্লাস্টিক বর্জন করতেই হবে’।মাননীয় পীযুষ সাহা মহাশয় বিজ্ঞান সম্মতভাবে ছাত্রদের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে বার্তা প্রেরণ করেন। সুমদ্রে প্রাণীদের যেমন ক্ষতি তেমনি ক্ষতি স্থলে বসবাসকারী প্রাণী কুলের।কৃষ্ণনগর বি.এড কলেজের প্রাক্তনী ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী দীপল রায় সাবলীল ভাবে বুঝিয়ে দেন প্লাস্টিক জলনিকাশি ব্যবস্থাকে কিভাবে ব্যাহত করে সাধারণ জীবনে ডায়েরিয়া, ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গির মত রোগ নিয়ে আসছে,যাতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ভীষণ উদ্বিগ্ন।ছাত্র যুবদের এগিয়ে আসতে হবে এই মহৎ কর্ম যজ্ঞে তাহলেই আমাদের জেলা রাজ্য দেশ তথা পৃথিবী আগামী প্রজন্মের কাছে বাস যোগ্য থাকবে।