উৎসব আসে উৎসব যায় নিষ্পাপ শিশুদের মুখ গুলি ফিকে হয়ে যায়। আনন্দ তো দুরস্ত পরনের কাপড়ই হয়তো জোটে না!দু:স্থ,আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের পূজোর আনন্দে শামিল করার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে-তাদের বন্ধুবান্ধব ,সহৃদয় মানুষের কাছে। মিলছে ভালো সাড়াও।পুজোর নতুন পোশাক দেওয়ার ভাবনা ছাড়াও রয়েছে অনেক পরিকল্পনা। এমনই কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পুজোর পরিকল্পনা-
“ভ্রমর”‘
অঙ্গ ভরুক নতুন খামে’ নাম দিয়ে তারা আহ্বান জানাচ্ছে শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য।সংস্থার কর্ণধার পেশায় শিক্ষক শ্রী সুদীপ সরকার জানান “এবার তারা-বাদকুল্লা,ব্যারাকপুর আসাননগর,ক্ষীর পুলি,কৃষ্ণনগর ,চুঁচুড়া মুড়াগাছা সহ বিভিন্ন স্থানে পুজো উপলক্ষে নতুন পোশাক সহ বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী নিষ্পাপ মুখ গুলির হাতে তুলে দেবেন।তাদের আহ্বান-
“স্মাইল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশান”
ধুবুলিয়ার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ঈদের সময় থেকেই শুরু করেছে;পুজোর সময় ও তারা আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে সংস্থার কর্ণধার লক্ষণ ব্রহ্ম বললেন “তারা বিভিন্ন জায়গায়- তাতলা,ধুবুলিয়া রেলবাজার,তাহেরপুর রানাঘাট,শিলিগুড়ি,
ডায়মন্ডহারবার,মুড়াগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ১২০০ নতুন পোশাক সঙ্গে নতুন জুতো দেওয়ার জন্য দোকান খোলা খুলবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।যার যেটা ইচ্ছা হবে সে সেটা নিয়ে যাবে”।তাদের আহ্বান-
রাই ফাউন্ডেশান’
তোমার অঙ্গে পূর্ণতা পায়,আমার অঙ্গে কেন শুধুই উন্মুক্ততা’এরকমই আহ্বান জানিয়ে দু:স্থ শিশু ও আদিবাসীদের মধ্যে নতুন পোশাক তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।তারা পোশাক দেবে আদিবাসী গ্রাম মানিকতলা সহ বিভিন্ন জায়গায়।সংস্থাটির পক্ষে শ্রীমতি শ্রাবনী পাল বিশ্বাস বলেন “ওদের জন্য কিছু করতে পারলে বড্ড ভালো লাগে”।তাদের আহ্বান-
“মানবিক রানাঘাট”‘
উৎসবে আনন্দ দান’ নাম দিয়ে আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানবিক রানাঘাট। শারদীয়া উপলক্ষে প্রায় ৮০০ নতুন পোশাক তুলে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে সংস্থাটির।সংস্থাটির কর্ণধার সুভাষ নাথ বলেন”বিভিন্ন ইট ভাটা,অনাথ আশ্রম,সহ প্রায় আটটি জায়গায় আমাদের এই নতুন পোশাক দেওয়ার পর্ব চলবে”।তাদের আহ্বান-
“আমরা কৃষ্ণনগর বাসী”ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমেও আহ্বান জানানো হয়েছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার। উদ্যোক্তাদের মধ্যে রাজেশ সরকার বলেন”এবছরে শারদীয়া উপলক্ষ্যে আমরা আগামী ২৯শে সেপ্টেম্বর ১০০ জনের নতুন পোশাক দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
এছাড়াও রয়েছে অনেক সংস্থা তারা তাদের ফেসবুকের পেজের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে যাতে দু:স্থ মানুষ ও শিশুদের মানুষের পাশে দাঁড়ান।উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন আবার আক্ষেপের সুরে বললেন “কাজটা ও যে কঠিন।অনেক লোকে আবার সমালোচনাও করেন।বলেন সত্যিই কি পাচ্ছে শিশুরা?কেউ বা আবার প্রশ্ন তোলেন দেওয়ার সময় ক্যামেরার প্রয়োজন কি ?আসলে ক্যামেরার এই ছবিগুলো দেখে অনেকেই এগিয়ে আসেন তাই।কে কি বলল এসব মাথায় নিয়ে লাভ নেই ওদের পুজো কাটুক আনন্দে হাসি মুখ গুলো আরো হাসুক এটাই আমাদের প্রাপ্তি”।