সোশ্যাল বার্তা: স্বামীকে ফিরে পেতে স্বামীর বাড়ির সামনে গতকাল থেকে ধর্ণায় বসেছে স্ত্রী ও শিশুকন্যা।ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার কোদালিয়া গ্রামে। অভিযোগ হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানা এলাকার প্রিয়াঙ্কা দাসের সাথে কোলাঘাট থানার কোদালিয়া গ্রামের চন্দন দাসের সাথে রেজিষ্ট্রি ম্যারেজ করে বিয়ে হয় ৬ বছর আগে।
প্রিয়াঙ্কা জানায়, স্কুলে পড়ার সময় থেকে প্রেম ছিলো।পরে বছর ছয়েক আগে চন্দন ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে বিয়ে হয়। যদিও শ্যামপুরেই থাকতো স্বামী এবং স্ত্রী। বিয়ের পর বেশ কয়েক বার এলেও স্থায়ী ভাবে শশুর বাড়িতে থাকতে পারেনি।মাস ছয়েক আগে স্বামী চন্দন দাসের মায়ের মৃত্যুতে বাড়ি আসে।এরপর থেকে স্ত্রী চন্দনার সাথে দেখা করেনি।বারংবার স্বামীর সাথে দেখা করতে আসে,কিন্তু কোন ভাবেই দেখা হয়নি,এমনকি বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।পরিবারের লোকজন স্ত্রী বলে স্বীকার করতে রাজী হয়নি।এই কারনে কয়েক মাস ধরে ভোগপুর পঞ্চায়েত,কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে।বারংবার ফল না মেলায় শেষমেষ স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আসায় গতকাল বুধবার থেকে স্বামীর বাড়ির সামনে ছোট শিশুকন্যাকে নিয়ে ধর্ণায় বসে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা দাস।
পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয় স্বামী চন্দন দাস দিন ছয়েক বাড়িতে নেই।এবং প্রিয়াঙ্কাকে বউ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ।তবে গতকাল থেকে চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন ছোট্ট শিশুকন্যাকে নিয়ে প্রিয়াঙ্কা দাস।প্রখর রৌদ্রে বাড়ির দোরগোড়ায় বসে রয়েছেন।তবে শেষমেষ দুপুর দুটো নাগাদ কোলাঘাট থানার পুলিশ যায় এলাকায় এবং তদন্তে নেমেছে পুলিশ।