নিউজ সোশ্যাল বার্তা , দেবু সিংহ মালদা: ফাঁস জাল আর সেই জালে আটকে পড়ে মৃত্যু হচ্ছে বহু পাখির। পাখির মুখ থেকে কুল সংরক্ষণের তাগিদে এই রকম ফাঁদ জাল লাগিয়ে বছরের পর বছর কুল চাষ করছেন চাঁচল মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার কুল চাষীরা।
বেশ কয়েক বছর ধরেই চাঁচল মহাকুমা জুড়ে শুরু হয়েছে আপেল কুলের চাষ। স্বাদ মনোরম, আকৃতি চমৎকার। চাষের মাত্রা খুব ভালো হওয়ায় কৃষক মহলে এর চাষ করার প্রবণতাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। লাভের অঙ্কটা ও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। তবে এরই মাঝে চাষীরা করছে বড় ভুল। কুল সংরক্ষণের তাগিদে চাষিরা পাখির আক্রমণ থেকে কুল বাঁচাতে ব্যবহার করছে এক ধরনের মোটা সুতোর ফাঁদ জাল। ফলে কুল খেতে গিয়ে সেই ফাঁদে আটকে পড়ে মারা যাচ্ছে বহু পাখি। আস্তে আস্তে পৃথিবী থেকে লুপ্ত হচ্ছে বহু পাখি। আপেল কুল চাষ করতে গিয়ে বিপন্ন হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র। চাচোল মহাকুমা ফাদ জাল লাগিয়ে পক্ষীকুলের এরকম নিধনযজ্ঞে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পরিবেশ ও পক্ষী প্রেমিকেরা ।পক্ষী প্রেমিকেরা জানান, জাল বিছিয়ে পাখিদের মরণ ফাঁদে ফেলে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে চাচোল মহাকুমার বিস্তীর্ণ কুলচাষ এলাকায়। এই জাল পাতা লাগানোর জন্য বহু পাখি মারা যাচ্ছে। পৃথিবী থেকে আস্তে আস্তে পাখির সংখ্যা প্রায় লুপ্ত হতে চলেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় এইরকম রমরমিয়ে চলছে পক্ষী নিধন কান্ড। আস্তে আস্তে নানান ধরনের পাখির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছে। পাখিরা ফল খেলেও চাষবাসের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ কে খাদ্য হিসেবে তারা খেয়ে ফেলে। পাঠ,ধান, বেগুন ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থকারী ফসল পাশাপাশি বেশকিছু শাকসবজি পোকাদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। পাখিকুলের এইরকম ভাবে নিধনযজ্ঞ শুরু হলে আস্তে আস্তে বিষাক্ত পোকার পরিমাণ বাড়বে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্যান্য চাষবাস। তাই প্রশাসন কে অবিলম্বে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।