ঢাকে কাঠি ! হরিশ্চন্দ্রপুর তুলসীহাটা নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবে, খুঁটি পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি

Social

দেবু সিংহ,মালদা: প্রতীক্ষার আর মাত্র এক মাস। একমাস পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। মা আসছেন ঘরে। চারিদিকে শুরু হয়ে গেছে তার প্রস্তুতি। যেমন ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের তেমন ব্যস্ততা প্যান্ডেল ডেকোরেটারদের। পিছিয়ে নেই মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা। এই এলাকার অন্যতম সেরা পুজো হলো তুলসীহাটা নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের পূজো। আর এদিন খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে দূর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার ঢাক বাজিয়ে পুজো অর্চনা ও মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে খুঁটি পুজোর আয়োজন করেন ক্লাবের সদস্যরা।এবারে তাদের পুজো ৪০ তম বর্ষে পদার্পণ করল বলে জানালেন ক্লাবের সভাপতি প্রনব দাস।

এদিন খুঁটি পুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুজো কমিটির সভাপতি প্রনব দাস,সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী,তুলসীহাটা অঞ্চলের চেয়ারম্যান রমেশ গুপ্তা,মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান ও জম্বু রহমান, হরিশ্চন্দ্রপুর চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা এবং ক্লাবের সকল সদস্যরা।

পুজো কমিটির সভাপতি প্রনব দাস জানান,১৯৮৩ সাল থেকে এই পুজো হয়ে আসছে।এবছর পুজো ৪০ তম বর্ষে পদার্পণ করলো।তুলসীহাটা নেতাজি স্পোটিং ক্লাব প্রতিবছরই হরিশ্চন্দ্রপুরবাসিকে আকর্ষনীয় পুজো মন্ডপ উপহার দিয়ে থাকে।এবছরও দর্শকদের কাছে থাকছে চমক।ক্লাবের নবীন ও প্রবীণ সদস্যদের সমন্বয়ে এবছরের পুজো।পুজো থিম হিসাবে থাকছে মানব সভ্যতায় শিক্ষা এবং সংস্কৃতির বিবর্তন,পরিবর্তন ও প্রত্যাবর্তন।

মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, আজ সকল ক্লাব সদস্যদের আমন্ত্রণে আমরা এসেছিলাম। খুঁটি পূজার মধ্যে দিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। দুর্গাপূজা বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাই প্রত্যেক পুজো কমিটিকে অনুদান দিচ্ছেন যাতে পুজো সব জায়গায় ভালোভাবে হয়। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে পূজোয় মেতে উঠবো এই আশা করি।

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় যে পুজোগুলিকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে তার মধ্যে অন্যতম হলো এই ক্লাবের পূজো। প্রত্যেক বছরই ক্লাবের থিম থেকে শুরু করে লাইটিং থাকে তাক লাগানোর মত। এই বছরেও তার অন্যথা হচ্ছে না। শনিবার থেকে শুরু হয়ে গেল তার প্রস্তুতি। কারণ হাতে সময় তো আর বেশি নেই আর বছরের এই কয়টা দিনের জন্যই তো বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে।

Leave a Reply