মলয় দে নদীয়া:-নদীয়া জেলার হাঁসখালি ব্লকেড বগুলার এমএসসি ছাত্র বর্তমানে শিক্ষক শুভময় বিশ্বাস , ছোটবেলা থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের বিভিন্ন সরকারি বাধানিষেধ থাকলেও তা অমান্য করে হেলমেট বিহীন ভাবে কখনোবা মদ্যপ অবস্থায় মোটরসাইকেল চালান অনেকেই! আর সেই কারণেই ঘটে যায় নানান মর্মাহত দুর্ঘটনা। এমনই এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার পাড়ার বন্ধু তাদের সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো বেশ কয়েক বছর আগে। তখন থেকেই শুভময় ভেবেছিল কিছু একটা করা দরকার! যেমন ভাবা তেমন কাজ। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সেল দিয়ে, এবং বিভিন্ন রকম সেন্সর ব্যবহার করে গড়ে ফেললো, পরিবেশ বন্ধু , সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল। যাতে হেলমেট পড়া না থাকলে বা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে উদ্যত হলে কোনমতেই স্টার্ট হবে না। সৌরশক্তিতে চালানো এই মোটরসাইকেল অন্য আর পাঁচটা মোটরসাইকেলে থেকে কোন অংশে কম নয়! চালক এবং দুজন আরোহীসহ গতিতেও পাল্লা দিতে সক্ষম। তবে পার্থক্য একটাই মোটরসাইকেল থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া নির্গমন হবে না, তাই বাঁচবে পৃথিবী, যেটা সে চেয়েছিলো।
দাদাগিরীর মঞ্চে সৌরভ গঙ্গুলিও এই মোটরসাইকেল চড়ে আপ্লুত হয়ে, অপেক্ষায় ছিলেন পেটেন্ট পাওয়ার আশায়। অবশেষে সেই সুদিন হাজির। মিলেছে পেটেন্ট! শুভময় বাবু জানান “পশ্চিমবঙ্গে এখন বড় সমস্যা বেকারদের কর্মসংস্থানের! নতুন শিল্প সেই দিক থেকে সরকারি সহযোগিতা পেলে নদীয়ায় নতুন বাইক ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হবে বলে আমার বিশ্বাস। বিভিন্ন আকর্ষণীয় মডেল, প্রয়োজন ভিত্তিক ওজন বহন এবং গতি, অনুযায়ী বিভিন্ন দামের মোটরসাইকেল সহজলভ্য হবে আগামী নতুন বছর।”