প্রীতম ভট্টাচার্য, নদীয়া: মাছেরা আজ বদ্ধ, নৌকার দেখা মেলা ভার,প্লাষ্টিক, ফুল, দেবতার কাঠামো নদীর ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। শহরের নোংরাজল, বাড়ির ফুলের প্যাকেট, নদীতে বসবাসকারি জীবজগতের কাছে আজ অসহনীয়। এই নদীকে বাঁচাতে হবে, নদী বাঁচলে শহর বাঁচবে,বাঁচবে মানবজাতি, বাঁচবে পরিবেশ।
মানুষের কাছে আবার দৃষ্টান্তস্থাপন করলো নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের সেভ জলঙ্গী নদীসমাজ নামে একটি সেবামূলক সংগঠন । সেভ জলঙ্গী নদী সমাজ অনেকদিন ধরেই নদীকে নিয়ে লড়াই করছে এই জাগ্রত সমাজের কাছে। এই লড়াই এ আজ হাজির অনেক পরিবেশ কর্মীরা ও তাদের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন – সেভ জলঙ্গী নদী সমাজ, সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠী আমরা কৃষ্ণনগরবাসি,লায়ন্স ক্লাব সম্পর্ক,সুজন বাসর, কৃষ্ণনগর চারুকলা সোসাইটি,পরিবেশ বন্ধু,মায়াপুর ইসকন,নদিয়া যুগবার্তা,শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাব,নদীয়া পরিবেশ মঞ্চ সহ অগণিত সাধারণ মানুষ ।
গতকাল ১৩ ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টে কৃষ্ণনগর পৌরসভার সামনে থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত ‘সেভ জলঙ্গী’র উদ্যোগে নদীকে বাঁচাতে, প্লাস্টিক বর্জন করতে, সমাজ কর্মীদের ওপর আক্রমনের প্রতিবাদে হলো মানববন্ধন। এই অনুষ্ঠানে কৃষ্ণনগর ও কৃষ্ণনগরের বাইরের অনেক পরিবেশ সংগঠন অংশ নেন।
প্লাষ্টিক মুক্ত কৃষ্ণনগর শহর গড়তে আসুন আমরা সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই মানব বন্ধনে অংশগ্রহন করি। ব্যাক্তিগত স্বার্থে নয়, শহরের স্বার্থে আসুন, শহরকে ভালোবেসে আসুন। এই শহরটা আমাদেরও।
তবে গতকালের আহ্বানে সামিল ছিলো ৮ থেকে ৮০ বছর বয়সের প্রত্যেক স্তরের মানুষ। জলঙ্গী বাঁচাতে ও প্লাষ্টিক বর্জন করতে শহরের সকল মানুষ হাতে হাত ধরে মানববন্ধনে অংশ নেয়। চলে পথ নৃত্য, পরিবেশ কর্মীদের বক্তব্য পাঠ। মানববন্ধনে শহরের মানুষের অংশগ্রহন চোখে পড়ার মতো।