পশ্চিমবঙ্গ দিবসে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিধি প্রকল্পের ৫২২ জন গ্রাহক কে বই বিতরণ

Social

মলয় দে নদীয়া:-অসংগঠিত শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিধি প্রকল্প অনেকদিন আগেকার তবে তখন অর্ধেক টাকা দিতে হতো উপভোক্তাকে বাকিটা দিত সরকার। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েক বছর এই নিয়মে চললেও কয়েক বছর বাদে উপভোক্তার প্রদেয় অর্থ দাঁড়ায় ৩ মাসে ১৬৫ টাকা যার পুরোটাই দিয়ে দেয় সরকার আর এর ফলে অসংগঠিত শ্রমিকদের ৬০ বছর বয়স হলে তারা এককালীন অথবা পেনশন ভিত্তিক পান সরকারি সহযোগিতা। এছাড়াও ছেলেমেয়ের পড়াশোনা সংক্রান্ত এবং নানা সহযোগিতা রয়েছে।
টাকার অংক অবশ্যই নির্ধারিত হয় উপভোক্তার বয়স অনুসারে, কতদিন ধরে সে টাকা জমিয়েছে তার ওপর। তবে গঠিত অর্থের চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ দেওয়া হয় সাথে সরকারি ভর্তুকি তো আছেই। আর এর ফলে বিভিন্ন দোকানে কাজ করা কর্মচারী কিংবা ছোটখাটো কারখানায় অথবা নিজে নিজে ব্যবসায় কিংবা যে কোন ক্ষেত্রে শ্রমিকের কাজ করলেও পেনশনের সুবিধা থাকে, সামান্য হলেও। যদিও প্রকল্প চলাকালীন উপভোক্তার দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু হয় তাহলে পরিবার আর্থিক সহযোগিতা পায় এক লক্ষ টাকা সাথে পুরো প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মৃত্যুর ক্ষেত্রেও রয়েছে একই সুবিধা তবে অর্থ সহযোগিতা ৫০ হাজার।
শ্রমিকদের জন্য এইরকম মানবিক এক প্রকল্প অত্যন্ত জনপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গের কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসংগঠিত শ্রমজীবীদের বসবাস।
নদীয়ার শান্তিপুরে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আজ পয়লা বৈশাখ দিবসে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের নতুন গ্রাহক হিসাবে ৫২২টি বই তুলে দেওয়া হয় গ্রাহকদের হাতে। জানা যায় দু’বছর আগে আইএনটিটিউইসি র সহযোগিতায় কাউন্সিলর রূপা ঘোষ কর দু’বছর আগে মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাথমিক বিভাগে একটি ক্যাম্প করে আবেদন প্রস্তুত করেন ওয়ার্ডের অসংগঠিত শ্রমজীবীদের নিয়ে।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগন, উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক সংগঠন আইএনটি টি ইউসি জেলা সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী, সারা বাংলা তাঁত শ্রমিক ইউনিয়ন শান্তিপুরের সভাপতি সঞ্জয় কর এবং শান্তিপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের শ্রমিক নেতৃত্ব।

রাজ্য সরকারের নানান প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বিধায়ক সম্প্রীতির বার্তা দেন। বলেন সর্ব ধর্মের রাজ্যবাসীর ভরসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হলেও পৌরসভা জনপরিষেবা দেওয়ার জন্য তাই ধৈর্যশীল এবং সহযোগিতা দরকার।
ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক জানান, রাজ্যের একটা লোগো এবং দিবস থাকে যা কখনো বামফ্রন্ট সরকার ভাবি নি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সেই দিবস এবং বিশ্ব বাংলার লোগো চালু করেছেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রতিনিধি সঞ্জয় কর জানান একজন ১৮ বছর বয়সী যুবক যুবতী এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সে ২ লক্ষ টাকারও বেশি এবং সকল সুবিধা পাবে। ওয়ার্ডে প্রায় শতাধিক প্রবীণ মানুষজন এই সুবিধা পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। তবে বর্তমানে গ্রাহকদের শুধু খেয়াল রাখতে হবে তিন মাস অন্তর রিনিউ করা বাকি সব দায়িত্ব সরকারের।

Leave a Reply