মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার শান্তিপুর বেজপাড়া সংলগ্ন শহরের সীতানাথ গোস্বামীলেনে সাত সকালে সর্বস্বান্ত হলো এক পরিবার। সেখানকার বাসিন্দা দিলীপ দাস এবং মিনতি দাসের একমাত্র কন্যার বিবাহ হয়ে যাওয়ার কারণে মধ্যবয়স্ক ঐ দম্পতি বসবাস করেন। সম্প্রতি বিবাহ সংক্রান্ত একটি নিমন্ত্রণে এসে মেয়ে তার আনুমানিক ১০ ভরি সোনার গহনা রেখে যায় বাপের বাড়িতে।
আজ সকালে পরিবার প্রধান দিলীপ দাস, কিছুক্ষণের জন্য মতিগঞ্জ মোড়ে একটি দোকানে যান, অন্যদিকে মিনতি দাস, অন্য আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই গ্রিলের দরজার খিল লাগিয়ে, স্থানের উদ্দেশ্য বাথরুমে ঢোকেন, তিনি পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী, আজ দুয়ারে সরকার ডিউটি তার।
বাথরুমের মধ্য থেকে বাইরে একটি অস্পষ্ট পায়ের ছায়া, দেখেন , স্বামী ভেবে সম্মোধনও করেন, কিন্তু এরই মধ্যে আগত দুই মহিলা টেবিলের উপরে রাখা মোবাইল ব্যাগে রাখা কিছু টাকা, এবং সেখান থেকে চাবি নিয়ে আলমারি এবং লকার খুলে গহনা নিয়ে চম্পট দেয়।
প্রতিবেশীরা জানান বিগত দিলে কখনো এই এলাকায় চুরি হয়নি। তার উপরে সাত সকালে, এভাবে দুঃসাহসিক চুরি, সকলের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী ওই দুই মহিলাকে বেশ কয়েক বাড়িতে ভিক্ষা নিতে যেতে দেখা গেছে তারা কেউই কথা বলছিলো না মুখে অঙ্গভঙ্গী করছিলো খিদে পেয়েছে বলে। এমনকি ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে ক্ষতিয়ে যায় দেখে যায় বিষয়টি। তবে খুব ঘনিষ্ঠ কেউ এর সাথে যুক্ত আছে বলেই মনে করছেন এলাকাবাসী। চুরির রহস্য উদঘাটনে তৎপর শান্তিপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভেঙে পড়েছেন দিলীপ দাস, তিনি অন্যের বাড়িতে সামান্য অর্থের বিনিময়ে কাপড় ভাজের এর কাজ করেন, স্ত্রীও পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী। তিল তিল করে সঞ্চয় করা অর্থের মেয়ের গহনা করে দেওয়া, সেগুলো আবারো কিভাবে তৈরি করবেন, সেটাই এখন দুশ্চিন্তার।