নদীয়ায় মাতৃ মিশন ও মন্দির সেবা ট্রাস্ট ১৫ কাঠা জমির উপর তৈরি করল অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্যে আবাসন

Social

মলয় দে নদীয়া:-সমাজে থেকেও এরা আজও ব্রাত্য। এই আধুনিক যুগে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষেরা সমাজে কোথাও যেন তারা আজও পিছিয়ে। তাই হয়তো তাদের পরিচয় ‘ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন’ । কয়েক দিন আগে বেহালার শকুন্তলা পার্কে অটিজম আক্রান্ত মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করেন ৫৬ বছর বয়সী স্বজন দাস। তার বড় মেয়ে সৃজা র ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন দাস পরিবার তারই পরিণতি হিসেবে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা পথকে বেছে নেন বাবা ও মেয়ে !কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্র অনুযায়ী বিগত দুই থেকে নয় বছরে গোটা দেশে এই অটিজম আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ,বর্তমানে গোটা দেশে ১.৫% শিশু এই অটিজমে আক্রান্ত রাজ্যে এই মুহূর্তে ১৭৬ জন শিশু এই অটিজমের শিকার। মনস্তাত্ত্বিকবিদদের মতে, পরিবারের সাথে একাত্মতা অনেকক্ষেত্রে মানসিক ভাবে অনেকটা সুস্থতা দিতে পারে এই অটিজম আক্রান্ত শিশুদের। তাদের কথা মাথায় রেখেই নদিয়ার কল্যাণীর সগুনাতে। মাতৃ মিশন ও মন্দির সেবা ট্রাস্ট ১৫ কাটা জমির উপর এই অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্যে আবাসন তৈরী করছে। যেখানে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন

সন্তানদের নিয়ে থাকতে পারবেন তাদের অভিভাবকেরা। প্রাথমিকভাবে ২৪ টি আবাসন থাকবে, এছাড়াও থাকবে এই শিশুদের জন্যে জিম, সুইমিং পুল, স্পেশাল স্কুল এর পাশাপাশি আইসি ইউ এর সুবিধা সম্পন্ন ৪ শয্যার হাসপাতাল।
এই মাতৃ মঠ কোন মন্দির সেবক রাষ্ট্রের
অধ্যক্ষ স্বামী সর্বেশ্বরানন্দ পুরি জানান,” আমরা আসলে পাথর বা মাটির ঠাকুরকে পুজো করে ঈশ্বর লাভ করতে চাই। কিন্ত এই যে শিশুগুলো তারাই তো আসল ঈশ্বর। আসলে তাদের অবর্তমানে এই তাদের সন্তানদের কি হবে তা নিয়ে রীতিমত অবসাদে ভোগেন এই সমস্ত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানদের অভিভাবকেরা। তাদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। অভিভাবকরা না থাকলেও আগামীদিনে এই শিশুদের দায়িত্ব আমাদের মিশনের। “

Leave a Reply