সোশ্যাল বার্তা : নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের প্রাচীন ঐতিহ্য জলঙ্গি নদী ও অঞ্জনা নদী। বর্তমানে পরিবেশ প্রেমী সাধারণ মানুষের প্রাণকেন্দ্র দূষণে জর্জরিত। এই নদী বাঁচাতে কাজ করে চলেছে কৃষ্ণনগরের জলঙ্গী নদী সমাজ ও অঞ্জনা বাঁচাও কমিটি সহ অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা।
ভোটের সময় জলঙ্গী নদী গতি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি পায় কিন্তু অবহেলিতই থেকে যায়। আবার দুয়ারে লোকসভা ভোট। স্রোতহীন অঞ্জনা-জলঙ্গীর করুন দশা ও দূষণের চিত্র এবার সারা ভারতে তুলে ধরতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলো নদীয়ার কৃষনগরের কাজ করা সংগঠন জলঙ্গী নদী সমাজ ।
জলঙ্গী নদী বাঁচাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম সহ অন্যান্য প্রায় ২২টি দলের কাছে জলঙ্গীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাস্তুতন্ত্রের বিপন্নতার বার্তা সংগঠনের সদস্যরা। গত ৯ই মার্চ, ২০২৪ সংগঠনের সদস্যরা কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস থেকে চিঠি দিল ঐ ২২টি রাজনৈতিক দলের অফিসে। সংগঠনের সদস্যরা জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বাংলার বাইরেও যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রভাব রয়েছে যেমন জনতা দল, বিজু জনতা দল, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, ডি এম কে, এ আই এ ডি এম কে, আর এস পি, ফরোয়ার্ড ব্লক, আম আদমি পার্টি, জনতা দল, অসম গণ পরিষদের মত নামও আছে তাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য এই উদ্যোগ।
জলঙ্গী নদী সমাজের পক্ষে ডাঃ কৌশিক সরকার জানালেন, “নদীর সমস্যা তুলে ধরার জন্য লোকসভা-বিধানসভায় খুব ভালোভাবে তোলার জন্য তেমন কাউকে বলতে শোনা যায় না। এবার যিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন তিনি বলবেন বলবেন এটাই আমরা আশা করছি। জলঙ্গী ও অঞ্জনার দাবিকে যাতে সারা ভারত জুড়ে রাজনৈতিক দলগুলি সমর্থন করেন তাই আমরা অগ্রিম ব্যবস্থা নিয়ে রাখলাম। এরপরেও আমরা লিখিত চেষ্টা করব তো বটেই এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে নদী বাঁচাতে কাজ করে যাবো”।
চিঠিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে অঞ্জনা, জলঙ্গীর ওপর গড়ে ওঠা অবৈজ্ঞানিকভাবে পরিবেশ ধ্বংস করে নির্মিত একের পর এক সেতু, কালো দুষিত জল ও নদী দখল সহ বিভিন্ন বিষয় বলে জানান সংগঠনের একজন সদস্য। কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে একটি স্ট্রিট কর্নারের আয়োজন করা হয়।