মলয় দে নদীয়া:-আজও সাইকেলের দুই চাকায় আটকে রয়েছে বিধবা মহিলার ভাগ্য। সংসার চালাতে স্বামীর ব্যবসাকেই বেছে নিয়েছেন পূর্ণিমা ভৌমিক নামে এক বিধবা মহিলা। স্বামী হারা পূর্ণিমা দেবীর পরিবারে রয়েছে এক ছেলে এবং এক মেয়ে। মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে বিবাহিত হলেও শারীরিক অসুস্থ। সংসার চালাতে বেছে নিয়েছেন স্বামীর ভাঙ্গা পুরনো সাইকেলটিকে। আর এভাবেই সবজি বোঝাই ব্যাগ সাইকেলে ঝুলিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে চর মাজদিয়া বাজারে বিক্রি করতে বসেন পূর্ণিমা দেবী। স্বামী বেঁচে থাকতে তিনি ছিলেন অন্ধ। তখনও স্বামীর সাথে সাথে সাইকেল ঠেলতে ঠেলতে কাঁচা সবজি নিয়ে আসতো বাজারে। স্বামী স্ত্রী একসাথে ব্যবসা করে প্রতিদিন দুপুরের পর বাড়ি ফিরত। স্বামীর মৃত্যুর পর সংসার চালাতে তার ব্যবসা কাঁধে নিয়েছেন স্ত্রী। সরকারি সাহায্য বলতে বিধবা ভাতা পান। কিন্তু তাতে তার সংসার চলে না। প্রতিদিন যে সকল সবজি নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে বসেন তাতেও লাভের মুখ দেখেন না বলেই দাবি পূর্ণিমা দেবীর। তবুও এই বয়সে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সবজি বিক্রি করতে আসে এই নারী। সাইকেল ভর্তি সবজির ব্যাগ তবু ও লড়াইয়ে অনড় পূর্ণিমা দেবী। সংসারটা চালাতে হবে তো। আর তাই সকাল হলেই নবদ্বীপ থানার মুকুন্দপুর পাইকারি বাজার থেকে সবজি সংগ্রহ করে তোর চর মাজদিয়া বাজারে বিক্রি করতে আসেন। শুধুমাত্র ছেলে মেয়ে এবং নাতনিদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে। আজ বিশ্ব নারী দিবস। সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না। তার বক্তব্য একটাই খেটে খেতে হবে তো?
