ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’র পক্ষ থেকে “ঘরে ঘরে বিজ্ঞান ভাবনা” কর্মসূচী চালু

Social

মলয় দে নদীয়া:- কুসংস্কারমুক্ত ও বিজ্ঞানমনস্ক সুস্থ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’র নবদ্বীপ শাখার পক্ষ থেকে “ঘরে ঘরে বিজ্ঞান ভাবনা” কর্মসূচী চালু হলো। নবদ্বীপের ঘরে ঘরে যেমন ধর্মীয় কীর্তন হয় ঠিক তেমনি করেই ঘরে ঘরে বিজ্ঞানমনস্কতা ও যুক্তিবাদের প্রচার চলবে বলে জানান নবদ্বীপ শাখার সদস্যরা।

গতকাল কোর্ট পাড়ার বাসিন্দা কমল সাহার বাড়িতে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ নিয়ে আলোচনা করা হয়। হাতে কলমে দেখানো হয় জন্ডিসের মালা কিভাবে বাড়ে, জন্ডিসে হাত ধোয়ালে কিভাবে হলুদ জল বের হয়, কুকুর বা সাপে কাটলে বিষ নামাতে থালা পড়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। কমল বাবুর বাড়ির সকলে এসব দেখে খুব খুশি এবং তারা অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরে তাদের আত্মীয় বন্ধুবান্ধবের বাড়িতেও ‘ঘরে ঘরে বিজ্ঞান ভাবনা’ আসর বসাবে বলে যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যদের কথা দেন। বিজ্ঞাল আলোচনার আসর শুরু হয় যুক্তিবাদী কর্মী গনেশ দেবনাথের প্রাথমিক পরিচয়পর্ব ও বিজ্ঞান প্রচারের উদ্দেশ্য বলার মধ্য দিয়ে। সমিতির সদস্য সোমনাথ রায়ের কন্ঠে ‘মানুষের হাতে গড়া, মানুষ মানুষের জন্য, আমরা দেবো বোবাকে ‘ গান কমল বাবুর পরিবারকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করে। ধর্ম না কর্ম, মানুষে কোনটা করা উচিৎ তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সমিতির শাখা সম্পাদক প্রতাপ বাবু। সমিতির সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জি জন্ডিসের মালা বেড়ে যায় কেন ও তার ব্যাখ্যা দেন এবং কোল্ড ড্রিংক্স কতটা ক্ষতিকারক তাও বলেন।
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি নবদ্বীপ শাখার সম্পাদক প্রতাপ চন্দ্র দাস বলেন, ” ঘরে ঘরে ধর্ম নামক মিথ্যা নিয়ে যেভাবে প্রচার হচ্ছে, যেভাবে সমাজটাকে ধর্ম দিয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও বিকলাঙ্গ করা হচ্ছে তার থেকে মুক্তি দরকার। মানুষকে বিজ্ঞান সচেতন ও কুসংস্কারমুক্ত করতে না পারলে, সুস্থ সবল ও শোষণহীন সমাজ গঠন কখনোই সম্ভব নয়। ঘরে ঘরে যদি ধর্ম ও ধর্মীয় কীর্তন অলৌকিকতার চর্চা হতে পারে তবে আমরা কেন বিজ্ঞানের প্রচার করতে পারবো না?

Leave a Reply