ভোগের ঘরে আগুন ! বাবা জলেশ্বরের কৃপায় অভাব হলো না জলের, মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছাল দমকল

Social

মলয় দে নদীয়া:-দেবাধিদেব মহাদেব যিনি এক সময় প্রচন্ড খরাতে অনাবৃষ্টি কাটিয়ে ধরিত্রী শস্য শ্যামলা করেছিলেন সেই বাবা জলেশ্বর, জলের ব্যবস্থা করবেন এটাই তো খুব স্বাভাবিক! শান্তিপুর তিলিপাড়ায় অবস্থিত নদীয়ার বহু প্রাচীন জাগ্রত জলেশ্বর মন্দিরের ভোগের ঘরে আজ সকালে আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছালো শান্তিপুর অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্রের কর্মীরা তাদের অফুরান জলের যোগান নিয়ে।

সেবাইত জানাচ্ছেন, দুপুরে ভোগের জন্য সকাল থেকেই ভোগের ঘরে তিনি রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন হঠাৎ করে গ্যাস সিলিন্ডার জ্বলে ওঠে দাউ দাউ করে এর পরেই ঘরের সমস্ত ইলেকট্রিক্যাল তার আগুন ধরে যায় আগুন জ্বলতে দেখা যায় দরজা এবং জানালার কাঠের কয়েকটি অংশতেও। প্রাণ বাঁচাতে বাইরে এসে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন তবে সম্পূর্ণ ঘর গ্যাস ভর্তি এবং আগুনের ভয়াবহতা দেখে তারা এগোতে পারেননি তবে সাথে সাথে ফোন করেন দমকলকে। দমকলের একটি বড় ইঞ্জিন এসে একদিকে যেমন জল দিতে শুরু করেন অন্যদিকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস চার্জ করেন যা মাত্র কুড়ি মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন তবে তখনও গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরোনো বন্ধ হয়নি তাই সেটিকে বাইরে নিয়ে এসে নিষ্ক্রিয় করেন তারা। তবে অল্পের জন্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এমনকি সেবাইতের প্রাণ রক্ষা পর্যন্ত সম্ভব হয়েছে এত অল্প সময়ের মধ্যে দমকল পৌঁছানো এবং তাদের তৎপরতার জন্য। তবে ভক্তদের উপলব্ধি বাবা জলেশ্বর সকলকে সাবধান থাকা এবং মন্দিরে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখার বার্তাই দিলেন এই এই অঘটনার মধ্যে দিয়ে তবে তিনিই রক্ষা করেছেন তার মন্দির, সেবাইত, ভক্তবৃন্দ এবং আশেপাশের বাড়ি ঘর।

Leave a Reply