বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি শান্তিপুরে, পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের পরিসংখ্যানে চাঞ্চল্যকর তথ্য, চিন্তিত সাধারণ নাগরিক থেকে পরিবেশ কর্মীরা

Social

মলয় দে নদীয়া:-দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে দেশ জুড়ে। বর্তমানে অত্যাধিক দূষণের কারণে জর্জরিত রাজধানী দিল্লি। তবে এবার বায়ু দূষণের প্রত্যক্ষ প্রমান নদীয়া জেলার শান্তিপুরে। কিছুদিন আগেই পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডে তরফে শান্তিপুর শহরে বসানো হয়েছে ডিজিটাল স্ক্রিন। যে স্ক্রিনে দেখা যায় শহরের বায়ু দূষণের পরিমাপ এবং শব্দ দূষণের পরিমাপ। এবার সেই স্ক্রিনেই ধরা পড়ল শান্তিপুরে বায়ু দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী ০-৫০ শতাংশ এ কিউ আই ( এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ) পরিমাপ হলে বাতাসে বায়ু দূষণ নেই সেখানে ১৫১-২০০ শতাংশ এ কিউ আই এর পরিমাপ অনুযায়ী অস্বাস্থ্যকর বায়ু। এবার পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের ধরা পড়ল শান্তিপুরের বায়ুর এ কিউ আই ১৭৬ যা নিয়ে এখন যথেষ্ট চিন্তিত পরিবেশ কর্মী থেকে শান্তিপুরের জনসাধারণ।

বর্তমানে শান্তিপুর শহরের বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য সামনে আসার পরেই সচেতন নাগরিকদের মধ্যে গুঞ্জন। বায়ু দূষণ এত পরিমানে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শান্তিপুর শহর যে দূষণের আওতায় পড়েছে তার বলার অপেক্ষা রাখে না। একাধিক জায়গায় গাছ কাটা এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচল করা মোটর ভ্যান যা থেকে পরিবেশে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ে।

শান্তিপুরের পরিবেশকর্মী রা জানাচ্ছেন,যে হারে শান্তিপুর শহর তথা শান্তিপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ভাবে গাছ কাটা চলছে এবং উৎসবের আনন্দে যে পরিমাণ জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে তৎসহ ইঞ্জিন চালিত মোটর ভ্যান বেআইনিভাবে যেভাবে রাস্তায় চলছে তার প্রত্যক্ষ কারণ আজকের এই শান্তিপুরের বায়ু দূষণ। পৌরসভার উচিত যথেষ্ট পরিমাণ সচেতনতা এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। না হলে ভবিষ্যতে শান্তিপুরের পরিবেশ বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

যদিও এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের মেম্বার শুভজিৎ দে জানান,এই তথ্য ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের এই ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড লাগানোর পরেই।যদি এই পরিমাপ বা পরিসংখ্যান সত্যি হয় তাহলে সত্যিই চিন্তার বিষয়। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নেব। তবে এখন প্রশ্ন হল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের লাগানোর ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের পরেই হঠাৎ কেন নড়েচড়ে বসতে হচ্ছে শান্তিপুর পৌরসভা কে। তাহলে কি সচেতনতা প্রচারের অভাব ?

Leave a Reply