আনুমানিক প্রায় ৫০০ বছর ধরে আজও পটে এঁকে পূজিতা হন মা পটেশ্বরী

Social

মলয় দে নদীয়া:-পট বা বস্ত্রের উপর আঁকা একপ্রকার লোকচিত্র আমরা পট বলি। এটি প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিক সাংস্কৃতিক। প্রাচীন কাল যখন কোন স্বাধীন শিল্পকলার ছিলনা তখন এই পটিশিল্পই বাংলার শিল্পকলার ঐতিহ্যবাহী ছিল।

এই শান্তিপুরে রাস পূর্ণিমার পূর্ণ তিথিতে শ্রীশ্রী পটেশ্বরী মাতা পূজিত হন বহুকাল ধরে। প্রাচীনকালের পট চিত্রের মধ্যে কালি আমার ছবি এঁ পুজো প্রকাশিত হয়েছে। আনুমানিক পাঁচ শাতাধিক বছর ধরে এই পূজা হচ্ছে।

লোক কথা অনুযায়ী, পাঁচশো বছর আগে মুঘল সরকার স্বাধীন ভারতে এই পূজা করা হয়। বাংলাভাষা করতে বক্তিয়ার খিলজি যখন নদিয়ায় এসেছিলেন, তখন শান্তিপুরের তীরবর্তী এলাকায় তাঁর সৈন্য সামন্তদের নিয়ে থাকার ব্যবস্থা। ইসলাম বিশ্বাসী মুঘল শাসকরা মূর্তি পূজা খেলছিলেন। যুক্তরাজ্য কালে পুজো করাতে নিয়মনিষেধ। হিন্দু দেব পূজায় তখন বাধা দেওয়া। সেই সময় শান্তিপুরে তিন সন্ন্যাসী পার্ক পট্টচিত্রের মধ্যে মিডি একে পুজো শুরু করেন। পুজো শেষ হলে তার ছবি গুটিয়ে সযত্নে লুক রাখা হত। পরের বছর ঠিক একইভাবে সেই পটচিত্র বের করা হয় মিডিও পুজো।

শান্তি রাসযাত্রায় এখনও মুতে পূতী পটেশ্বরী কারণ মূর্তি শাক্তাপুরের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এখানে মাকে।

এখন এই পুজো সর্বজনীনভাবে হয়। এই দেবীর নামনুসারেই শান্তিপুরে পটেশ্বরী স্ট্রীট।

এই ছবি শুনা আঁকেন, সেই ভক্তকেও খুব নিষ্ঠা সহকারে, সংযমী হওয়া এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে পট আঁকেন। শান্তিপুরের পটশিল্পের এক অনন্য নিদর্শন এই পটেশ্বরী কালী মাতা ।

Leave a Reply