মলয় দে নদীয়া:- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিরসা মুণ্ডার আজ প্রয়াণ দিবস। উনিশ শতকের শেষে তৎকালীন বঙ্গ-বিহার সীমানায় ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি। শুরু হয় মুণ্ডা বিদ্রোহ। উনিশশো সালের ৯ জুন ব্রিটিশ জেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
উনিশ শতকের শেষে মালভূমিতে ইংরেজ শাসক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিরসা ও তাঁর সম্প্রদায় যুদ্ধ ঘোষণা করে। আদিবাসীদের জমি ও জঙ্গল বাঁচানোর লক্ষ্যে মিশনারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান তিনি। কৃষকদের বলেন, জমির খাজনা না দিতে। মানুষের কাছে তিনি ছিলেন বিরসা ভগবান। ডুমবারি পাহাড়ে ব্রিটিশ সেনার সঙ্গে বিরসা ও তাঁর অনুগামীদের যুদ্ধ হয়। অসাধারণ যুদ্ধ করেও তির ধনুক হাতে মুণ্ডারা ইংরেজের বন্দুক-কামানের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। মারা যান কয়েকশো মানুষ। কিছুদিন পর গ্রেফতার হন বিরসা। ফাঁসির ঠিক আগের রাতে জেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
সেই উপলক্ষে গভীর শোক এবং শ্রদ্ধার সাথে আজকের দিনটি পালিত হয়ে আসছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে আদিবাসীদের কাছে আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিধু কানু বিরসা মুন্ডা তাদের ভগবান। শান্তিপুর শহরের পুরাতন রামনগর পাড়ায় প্রতিবছরের মতন এ বছরেও আগের নিজস্ব সংস্কৃতি ধামসা মাদল এবং নৃত্যের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় বিরসা মুন্ডাকে। হবে সরকারিভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারিশ্রমিক সহ আমন্ত্রণ পেলেও ধামসা মাদল কিংবা অন্যান্য সহযোগিতা তারা পাননি, বলেই জানান। তবে তাদের আক্ষেপের বিষয় তাদের প্রকৃত ভাষা আ ক্রমশ অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় ব্যবস্থা থাকলেও প্রাথমিক মাধ্যমিক স্তরে তা পড়ার ব্যবস্থা নেই। সে ব্যাপারে সরকারি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।