মতুয়া ধর্মের প্রবর্তকের নামে কুরুচিকর মন্তব্য, প্রতিবাদে মতুয়া সমাজ

Social

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস : মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক পূর্ণব্রহ্ম হরিচাঁদ ঠাকুর, শান্তি মাতা এবং যুগাবতার গুরুচাঁদ ঠাকুরের ছবি বিকৃত সহ কু-মন্তব্যের জেরে উত্তাল বাংলার তথা দেশের মতুয়া সমাজ। শুধু তাই নয়, সোস্যাল মিডিয়ায় নমঃশূদ্র সম্প্রদায় কে কটুক্তি পর্যন্ত করতে দ্বিধা বোধ করেনি, অভিযুক্ত কুলদীপ চক্রবর্তী ওরফে কৃষ্ণপুত্র রাধে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মতুয়া সমাজ।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত কুলদীপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বাংলা জুড়ে বিভিন্ন থানা,বিডিও অফিস সহ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং এখানেই খান্ত থাকেননি মতুয়ারা, রাজ্য ব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তারা।

ঘটনার দ্রুত তদন্ত সহ অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বাগদার বিধায়ক দুলাল বর। উল্লেখ্য, ফেসবুকে কৃষ্ণপুত্র রাধে নামে ঐ ব্যক্তি, হরিচাঁদ ঠাকুর,শান্তিমাতা ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের ছবি বিকৃত করে অশ্লীল বাক্য পর্যন্ত পোস্ট করতে দ্বিধা বোধ করেনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মতুয়ারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। শুরু হয় রাজ্যের বিভিন্ন থানা,বিডিও অফিস, সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের পর্ব।

আজ ৯ ই জুলাই বঙ্গীয় হরি-গুরু চাঁদ আম্বেদকর চেতনা মঞ্চ ও ছাত্র যুব মতুয়া সংগঠনের ডাকে দোষী কুলদীপ চক্রবর্তীর শাস্তির দাবিতে হাঁসখালি বিডিও অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচী পালিত হয়। দুপুর ২টো থেকে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে এলাকার অগনিত মতুয়া ধর্ম অনুপ্রাণিত ভক্তবৃন্দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরার আগরতলার বাসিন্দা কৃষ্ণপুত্র রাধে নামে ঐ ব্যক্তির আসল নাম কুলদীপ চক্রবর্তী।তিনি ফেসবুকে ছদ্মনামে এ্যাকাউন্ট খুলে ধারাবাহিক ভাবে এই ধরনের অপকর্ম করে থাকেন বলে অভিযোগ। কুলদীপ কে গ্ৰেপ্তারের দাবি করে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার সহ বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ দোষী কুলদীপের কড়া শাস্তি সহ ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন।

Leave a Reply