নির্বাক ভালোবাসার অনুভূতি! এক বধির পাত্র’র সাথে জীবনসঙ্গিনী বধির পাত্রী

Social

মলয় দে, নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুর গোবিন্দপুর অঞ্চলের দক্ষিণ কায়স্থ পাড়ার সুপদ সরকারের বড় মেয়ে প্রিয়াঙ্কা জন্ম থেকেই বধির। পড়াশোনার সুবাদে কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশনে আবাসিক পড়াশোনা করেন ছোট থেকেই! সামনের বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছে! তবে বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স অবশ্য হয়ে গেছে!

পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের মন্মথ অধিকারীর পুত্র মন্টু অধিকারীর দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে রাজী হন বাবা সুপদ সরকার। তিনি জানান, সুপাত্র হাতছাড়া করতে রাজি নই,আগামীতে আমার মেয়ের পড়াশোনা বজায় থাকবে এই মর্মে রাজি হয়েছি।
পাত্র মন্টু অধিকারীর দাদু জানান, একজন বধিরের মন বুঝতে পারে অপর বধির তাই জীবনসঙ্গিনী হিসেবে প্রিয়াঙ্কাকে বেছে নিয়েছে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে বিবাহ দেওয়া পুরোহিত জানান অতীতে কখনো, এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়নি। মন্ত্র উচ্চারণের বহিঃপ্রকাশ না হলেও,পড়াশোনা জানা ছেলে মেয়ে তাই মনে মনে উচ্চারণ করছে! এতেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবেন তারা।
পাত্র এবং পাত্রী’র বেশকিছু বন্ধু-বান্ধব কেউ দেখা গেলো কথা বলার সমস্যা সত্ত্বেও, আনন্দে এতোটুকু ঘাটতি পড়তে দিচ্ছেন না তারা।

আকারে-ইঙ্গিতে পাত্রপাত্রী বুঝিয়ে দিলো একমাস আগে বিয়ে ঠিক হওয়ার পরের থেকে বেশ কয়েকবার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে আকার-ইঙ্গিতে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন তারা।

Leave a Reply