মলয় দে নদীয়া :- জলপথ হোক বা রেলপথ কিংবা সড়ক পথ গণপরিবহনের যানবাহন হিসেবে লঞ্চ স্টিমার বাস কিংবা ট্রেন সবেতেই চলছে বিশেষ প্রচার অভিযান এবং টিকাকরণ।
আজ পালস পোলিও টিকাকরণ চলছে সারা দেশ জুড়ে। শান্তিপুর পৌরসভার পক্ষ থেকেও অত্যন্ত তৎপরতার সাথে সকাল থেকেই বিভিন্ন আশা কর্মী এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী পুরপ্রতিনিধিরা এ কাজে হাত লাগিয়েছেন। শান্তিপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল শুভজিৎ দে জানিয়েছেন ২৪ টা ওয়ার্ডে প্রায় ৫৬ টি সেন্টারে চলছে টিকাকরণ যার মধ্যে। গণ যাত্রী পরিবহন সংলগ্ন এলাকা গুলি তারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন, রেল সড়ক এবং জল পথে তাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা খোঁজখবর নিচ্ছেন সচেতন করছেন এবং একই সাথে শিশুদের টিকাকরণও করছেন।
আশা কর্মীরা জানাচ্ছেন আজ প্রথম দিন হলেও আগামী দুদিন তারা অপেক্ষা করবেন, এলাকার বুথে বুথে তাদের কর্মীরা একদিকে যেমন খবর নিচ্ছেন অন্যদিকে ব্যস্ততার কারণে জনবহুল এলাকাতেও তারা চালাচ্ছেন সচেতনতা প্রচার অভিযান। নবজাতক থেকে পাঁচ বছর বয়সী প্রায় ন হাজারেরও বেশি শিশুদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে যাত্রা পথে শিশুদের মায়েরাও গনপরিবহন যানে বসে পোলিও খাওয়ানোর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে রেলওয়ে স্টেশন কিংবা বাস স্ট্যান্ড অথবা ফেরিঘাটের পার্শ্ববর্তী দোকানদার কিংবা এলাকাবাসীরাও এই অস্থায়ী শিবিরে এসে নিজেদের সন্তানদের পোলিও খাইয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা পোলিও খাওয়ানোর পর শিশুর আঙ্গুলে দিচ্ছেন কালির দাগ।
প্রসঙ্গত, পালস পোলিও ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামটি ভারতে 2 অক্টোবর 1994-এ চালু করা হয়েছিল, যখন বিশ্বব্যাপী পোলিও মামলার প্রায় 60% ভারতে ছিল।
বন্য পোলিও ভাইরাসের কারণে পোলিওর সর্বশেষ কেসটি 2000 সালে মালাপ্পুরম থেকে কেরালায় রিপোর্ট করা হয়েছিল। 2011 সাল থেকে ভারতে বন্য ভাইরাসের কারণে কোনও মামলা পাওয়া যায়নি।
ভারত 27 মার্চ 2014-এ সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ‘পোলিও-মুক্ত শংসাপত্র’ পেয়েছে।
সফলতার শীর্ষে থাকলেও আগামীতে এই রোগ যেন কোনোভাবেই প্রাদুর্ভাব না ঘটাতে পারে তার জন্যই সচেষ্ট কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকার, অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন পৌরসভা কিংবা পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীরা।