মলয় দে নদীয়া :-এবছর বৃষ্টিপাত তুলনায় কম। আবহওয়া পরিবর্তন হচ্ছে মাঝে মধ্যে ফলে শীতের রবিশষ্য চাষের ব্যাপক ক্ষতি। একদিকে পর্যাপ্ত জল নেই মাটিতে অন্যদিকে শীতও উধাও! বীজ লাগানো হলেও সেই বীজ থেকে অঙ্কুর বের হতে সমস্যা।ফলে মাথায় হাত কৃষক বা চাষীদের।
নদীয়ার চাকদহ ও কল্যানী ব্লকে অধিকাংশ জমিতে এই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কল্যানী ব্লকে চাঁদুড়িয়া দুই নম্বর জিপির সান্যালচর এলাকায় শীতের মরশুমে লাল আলু,ঝিঙে,ভেন্ডি,রসুন,ছোলা,সর্ষে,কালো জিরে,পটল,ধনে সহ এই অঞ্চলে চাষ হয়।গত বছর দুই এক বৃষ্টিপাত না হবার কারনে মাটি শুকনো থাকায় সেই পরিমাণ জমিতে চাষ হচ্ছে না। সাল্যোর সাহায্যে জমিতে জল দিলেও সেই জল কিছুক্ষণের মধ্যে শুকিয়ে যেত অল্প সময়ে। যাও বা চারা গাছ কিছুটা বেড়ে উঠেছে তখন আবার নিম্নচাপের প্রকোপ . কোন কোন শীতের বদলে ঝিরঝিরে বৃষ্টি দেখা নেই রৌদ্রের ফলে চারা গাছে বিভিন্ন পোকামাকড় এবং রোগ এর প্রকোপ বাড়ছে।শুধু কল্যানী ব্লক নয় চাকদহ ব্লকের মলিচাগর, বলিদাপাড়া, সরডাঙ্গা,রাউতাড়ি সহ চাকদহ ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের চাষী বা কৃষক রা এই বৃষ্টি বা আবহওয়ার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত।তারপর সার ও কিটনাশকের দাম বৃদ্ধির কারনে চাষ করতে পারছে।সান্যালচরে কালিপদ তপাদার তিনি বলেন,সার বা কিটনাশকের দাম বেশী।ইউরিয়া,পটাশের দাম কিলো প্রতি তিন গুন।খোলের দাম বেশী ফলে ঘর থেকে যে পয়সা খরচ করে চাষ করি সেই পয়সা ওঠাতেই কাল ঘাম বেরিয়ে যাচ্ছে। জমি কে চাষ যোগ্য করতে লাঙল বা ট্যাক্টর খরচ, জল,বীজ,সার,কিটনাশক লাগে।আগের তুলনায় দীন মজুরের অভাব। পয়সা দিলেও মজুর পাওয়া যায়না।যাওবা পাওয়া যায় মজুরি চাহিদা বেশী। একি কথা বললেন জগবন্ধু মন্ডল। পাশাপাশি মালোপাড়ার বাসিন্দা অর্জুন মন্ডল অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালায়।তিনি বলেন,শীত না পরলে শীতের ফসল কি ভাবে চাষ হবে এক বৃষ্টি দুই আবহওয়া যদি দুই ভালো থাকে তবেই জমিতে ভালো ফসল হবে।মলিচাগরের দুলাল বিশ্বাস জানায়,যারা জমি লিজ নিয়ে, ঋন নিয়ে চাষ করে তাদের অবস্থা আরো শোচনীয়।তাদের অবস্থার কথা কে শুনবে। এমন প্রশ্ন উঠে আসছে না বলতে পারা কৃষকদের মুখে।