কাউন্সিলরের উদ্যোগে নিজ ওয়ার্ড দুয়ারে পোস্ট অফিস ! আধার লিঙ্ক হাতের মুঠোয়

Social

মলয় দে নদীয়া:-এখনো লিংক সমস্যায় জর্জরিত রাজ্যের বহু মানুষ । এই লিঙ্ক আধার কার্ডের সঙ্গে, মোবাইল নাম্বার সংযুক্তিকরণের । এই লিংক করতে গিয়েই বহু বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল, বয়স্ক মানুষ ,গরিব মানুষ এবং ভিন রাজ্যে কর্মরত মানুষজন ।

নদীয়া শান্তিপুর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসীরা বারবার তারা এই লিংক করাতে শান্তিপুর পোস্ট অফিসে গেলেও দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে, সময়ের পর সময় দাঁড়িয়ে থেকে করে উঠতে পারছিলেন না । বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে কিংবা অন্যত্র করতেও লাগছিলো কোথাও দুশো কিংবা আড়াইশো।

ওয়ার্ড বাসীদের এই দুরবস্থা এবং দুঃসময়ের কথা আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করে শান্তিপুর এগারো নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্নিগ্ধা ব্যানার্জিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্বারস্থ হন শান্তিপুর পোস্ট অফিসের । অনুরোধ জানান তার ওয়ার্ডে এ ধরনের একটি বিশেষ সেটআপ বসানোর জন্য, কারণ হিসেবে জানান তন্তুজীবী সহ বিভিন্ন, পেশায় নিযুক্ত অত্যন্ত অভাবে পরিবারের সদস্যরা কিছুতেই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানোর সময় বের করতে পারছেন না আর তার ফলে বিভিন্ন রকম সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন তারা।
পোস্ট অফিসের সহানুভূতিপূর্ণ উদ্যোগে, শান্তিপুর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল এবং আজ নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য বসে একটি বিশেষ ধরনের ক্যাম্প যেখানে মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা হয় ন্যূনতম সরকারি বরাদ্দ অর্থেই ।

এ বিষয়ে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্নিগ্ধা ব্যানার্জি বলছেন এই ক্যাম্পে দুদিনে প্রায় সাড়ে ৬০০ মানুষ তাদের মোবাইল নাম্বার আধার কার্ডের সঙ্গে লিংক করে উপকৃত হয়েছেন। তবে এত বড় ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল, পোস্ট অফিসের তরফ থেকে ক্যাম্প করার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন তিনি । যদিও পরবর্তীতে বাকি অধিবাসীদের লিংক করার ব্যবস্থা পোস্ট অফিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে, নতুন আরেকটি ক্যাম্প করার চিন্তা রয়েছে কাউন্সিলরের । তবে এবার সময় অপচয় করে বা দিনআনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর কাজের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে, যেভাবে নিজের ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে মানুষের সহযোগিতা করেছেন স্নিগ্ধা ব্যানার্জি, তাতে যথেষ্টই আনন্দিত এলাকাবাসীরা । তারা অনেকেই জানান কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবার প্রধান থাকেন বাইরে ছেলে মেয়ের পড়াশোনা এবং অন্যান্য সাংসারিক কাজ সেরে লিংকের জন্য লাইনে দাঁড়ানো সম্ভব হয় না, অনেক ক্ষেত্রে রুজি রুটির জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে হয় কর্মব্যস্ত তার মধ্যে ফুরসত মেলে না লিংক করানোর। তাই এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত সুবিধাজনক।

Leave a Reply