সাইবার ক্রাইমে খুদে পডুয়া ! ক্যাফে থেকে ৮১ হাজার টাকা ট্রান্সফার  

Social

অঞ্জন শুকুল,নদীয়া: সাইবার ক্রাইমের শিকার হল খুদে পড়ুয়া। গ্যাসের ভর্তুকি টাকা ঢুকবে একাউন্টে। তেমনই প্রলোভন দেখিয়ে ফোন করেছিল এক ব্যক্তি। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ১৪ বছরের এক নাবালক সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে প্রথমে ৮৫০০ টাকা ট্রানস্ফার করতে বলে। এরপর খেপে খেপে মোট ৮১ হাজার টাকা ট্রানস্ফার হয়ে যাবার পর সকলের টনক নড়ে। সেই টাকা না দিতে পারার জন্য নাবালক ছেলেকে সাইবার ক্যাফের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়ার পূর্ণগঞ্জ সল্ট লেক পাড়ায়। এ বিষয়ে ওই নাবালকের মা পার্বতী বারিক কৃষ্ণনগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করার আবেদন জানিয়েছেন। ওই গ্রামেই বাড়ি পার্বতী বারিকের। তার স্বামী শম্ভু বারিক পেশায় একজন দিনমজুর। তাদের সন্তান মাজদিয়া রেল বাজার হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র । সপ্তদীপ বারিকের অনলাইনে পড়াশোনার জন্য রয়েছে একটি স্মার্ট ফোন। পার্বতী বারিক অভিযোগ করেছেন,’গত ২০ আগস্ট তার ছেলের ফোনে অপরিচিত একজন ব্যক্তির ফোন আসে। গ্যাসের ভর্তুকি বাবদ টাকা পাওয়া যাবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে ৮০০০ টাকা ওই ব্যক্তির একাউন্টে ট্রান্সফার করতে বলে। আমার ছেলে আমাকে না জানিয়ে এলাকার একটি সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে সুখেন সাহা নামে ক্যাফের মালিককে ৮৫০০ ট্রান্সফার করতে বলে। যদিও সুখেন সাহা পরপর টাকা টান্সফার করে মোট ৮১ হাজার টাকা টান্সফার করে ফেলেন।এরপর ৮২ হাজার টাকা দাবি করে আমার ছেলেকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে আমরা সবাই ছুটে যাই। এরপর ঐ ক্যাফের মালিক কোর্টের স্ট্যাম্প পেপারে সমস্ত টাকা পরিশোধ করার লিখিত নেন । এমনকি আমার দিদি ছেলেকে মুক্ত করতে গলার সোনার চেন খুলে দিতে যান , দোকানের মালিক তাতেও রাজি হননি।পরে আলোচনার ভিত্তিতে লিখিত প্রতিশ্রুতির ফলে আমার ছেলেকে ছাড়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে টাকা যোগাড় করতে না পাড়ায় ক্যাফের মালিক আমাকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন পরিবার । শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা ধার করে ৭০হাজার টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হোয় । ক্যাফের মালিক আমাকে লিখিত স্টাম্প পেপার ফেরত দেয় । আমি বিষয়টি সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। আমি চাই আমার খোয়া যাওয়া টাকা যাতে ফেরত পাই।’সপ্তদীপ বারিকের বক্তব্য,’ আমি না বুঝে ভুল করে ফেলেছিলাম।

যদিও ক্যাফের মালিক আটকে রাখার কথা স্বীকার করলেও হুমকির কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন লিখিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর আমি টাকা পরিশোধ করার জন্য ওদের বাড়িতে যাই। তিনি আরও বলেন ৮১ হাজার টাকা পাঠানোর পর আমার সন্দেহ হয়। আমি এর পর আর টাকা টান্সফার করিনি। বরং আমার প্রাপ্য টাকার দাবি করেছিলাম। আমিও চাই,গরিব পরিবার যাতে তাদের ওই টাকা ফেরত পান।’

Leave a Reply