মলয় দে নদীয়া:- বিরামহীন উষ্ণতার আস্ফালন। প্রকৃতির প্রতি নানান অত্যাচারের বহিঃপ্রকাশ বলছেন পরিবেশবিদগণ। রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই উষ্ণতার পারদ অতিক্রান্ত করেছে ৪০ ডিগ্রী। অসহনীয় গরমে পড়ুয়ার কথা মাথায় রেখে স্কুল কলেজ আজ থেকে ছুটি ঘোষিত হয়েছে সরকারি তরফে।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে স্বস্তির বৃষ্টির কোনো খবর পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত।
এসি, এয়ার কুলার, ফ্যান, এবং দই সহ ঠান্ডা পানীয় বিক্রি ছাড়া বাকি সব ব্যবসা প্রায় বন্ধের মুখে।
তবে নদীয়ার শান্তিপুর গোবিন্দপুর বাইপাস মোড়ে , সদ্য তৈরি হওয়া অসমাপ্ত ওভারব্রিজের তলায় বাতানুকূল পরিবেশ। চারিদিকে খা খা রোদ্দুরের মধ্যে শীতল ছায়ায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডা পানীয়তে চুমুক দিয়ে তবেই আবার রওনা। আর তার ফলে ই এক এক করে প্রায় সব ধরনের ঠান্ডা পানীয় জমিয়ে বসেছে তাদের পসরা নিয়ে, নিজেদের মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়া।
বোম্বের ফেমাস ভলক্যানো সোডা এবং ছাতুর শরবত বিক্রেতা হরষিত মন্ডল বাইরে রাজ্যে যেতেন রাজমিস্ত্রির সেন্টারিংয়ের কাজ করতে, এখন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বলেন অনেক দোকান হয়ে বরং ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে, একই ছাদের তলায় এত রকমের শরবত পাওয়া যায় বলেই ক্রেতাদের ভিড়।
বিভিন্ন ধরনের ফলের রস বিক্রেতা দুলাল মুখার্জী রানাঘাটে ১৩ বছর ধরে এই ব্যবসায় শ্রম এবং সময় দিলেও পেতেন না মুনাফা, পারিশ্রমিকও না, কিন্তু এক বছরেই শান্তিপুরে ৩০০- ৪০০ গ্লাস অন্যান্য সময় এক দেড়শ শরবত বিক্রি করে, সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে।
আখের রস বিক্রেতা মানিক মন্ডল আগে ইটভাটার কাজ করতেন এখন সফল ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন এই জায়গায় সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে সকলেই দুটো ভাত জোগাড় করতে পারছে পরিবারের।
ক্রেতা তপন বিশ্বাস, বলেন প্রচন্ড রৌদ্রে সাইকেল মোটরসাইকেল চারচাকা গাড়ি এমনকি মাঝেমধ্যে বাস লরিও থমকে যায়, ঠান্ডা পানীয়র টানে।
অপর আরেক ক্রেতা দেবব্রত রায়, বলেন অতীতে এক সময় দিনের বেলাতেও বাইপাস মোড় দিয়ে যেতে গা ছমছম করতো, বেশ কিছু চায়ের দোকানদার কম দামে ভালো চা খাইয়ে প্রথমে যাত্রীদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন, ঠিক উল্টোদিকে শরবতের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠছে ক্রমশ। দামও হাতের নাগালে, ৫-১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।