মলয় দে নদীয়া:-আজ থেকে প্রায় ৭৬ বছর আগে রাধা কৃষ্ণের সামগ্রিক জীবন কাহিনী অভিনয় করে একমাস ধরে জনসমক্ষে উপস্থিত করার রীতি ছিলো বাংলাদেশে। সেই পুজো কুচবিহার এবং নদীয়ার ফুলিয়া উমাপুরে শুরু হয়।
অত্যন্ত দরিদ্র এলাকা হলেও, সকলের সম্ভবেত চেষ্টায় , প্রত্যেক বছর ফাল্গুনের প্রথম রবিবার থেকে চৈত্রের প্রথম রবিবার পর্যন্ত একমাস যাবত মেলা চলার, নানান ধরনের কীর্তনের বাজনা সামগ্রী, 18 বছরের নিচে কিশোরদেরদের বেশভুষা, ঠাকুরকে মানত করার রুপোর এবং সোনার বহু সংখ্যক মুকুট বাঁশি, হাজার হাজার ভক্তদের প্রসাদ দেবার উদ্দেশ্যে বড় বড় পিতলের কাঁসার বাসনপত্র , সবকিছুই মন্দিরের বারোয়ারি ঘরে রাখা থাকতো। তবে ওই ঘর খুব একটা খোলার প্রয়োজন হতো না, পাশে মূল মন্দিরের রাধাকৃষ্ণের নিত্য পুজো হওয়ার কারণে।
মেলা আসন্ন হওয়ার কারণে আজ পাড়ার ছেলেরা, বারোয়ারির দরজা খুলতে গিয়ে দেখে, তালা লাগানো রয়েছে তালার মতোই তবে, অতিসন্তর্পনে অত্যন্ত ধীর স্থির ভাবে, আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। গতবারের সিদ্ধান্ত মতই এ বছর মেলা শুরু হওয়ার আগে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা ছিলো, কিন্তু তার আগেই সমস্ত শেষ! ধনী দরিদ্র পাড়ার সকলে প্রতি মাসে, অত্যন্ত অভাবীরা প্রতিদিন ঘটে পর্যন্ত খুচরো পয়সা জমান এই মেলা উপলক্ষে। এই তিল তিল করে জমানো অর্থে, মেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সামগ্রী, কেনা যা চুরি যাওয়ার পর এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকার প্রবীনরা বলেন, বহু পুরাতন এমনকি বাংলাদেশের পর্যন্ত পুজো উপকরণ ছিলো তাদের গর্বের। তবে এবার কিভাবে মেলা করা সম্ভব হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন তারা।
এলাকাবাসী শান্তিপুর থানার দারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।