মলয় দে, নদীয়া :- এতদিন যেটা কলকাতা এবং শহরতলীতে দেখা যেত সম্প্রতি তা দেখা যাচ্ছে নদীয়ার শান্তিপুরেও। স্কুলে ভর্তির ফরম নিতে আগের দিন থেকে লাইন ! শীতের প্রকোপ মশার কামড়কে সঙ্গী করেই সন্তানকে নামী বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে ইঁদুর দৌড়ে প্রথম সারিতে থাকার অদম্য প্রচেষ্টা। শান্তিপুর রাধারানী নারী শিক্ষা মন্দিরে ২০০ জন পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির ফর্ম দেবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আর একদিনে ফর্ম দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্যই হয়তো এত ভিড় এমনটাই মনে করছেন সুশীল সমাজ। না হলে শান্তিপুরে আরও বেশ কিছু নামি বিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে অথচ কোনভাবেই তা লাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলছেন, বিদ্যালয় প্রচারে আলোতে আসার কৌশল।
তবে অভিভাবকরা, এবং সন্তানদের পছন্দ মতন বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে , সকলেই একটি বা দুটি বিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করছেন। অথচ, শুধুমাত্র বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেই যে ছাত্রছাত্রীরা ফলাফল করবে এমন নয়। অপেক্ষাকৃত কম ছাত্র-ছাত্রী আছে এমন বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হয়, এমনটাও বলছেন অনেকেই। বিভিন্ন শিক্ষানুরগিরা মনে করেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ভর্তির সমতা থাকা উচিত। এমনও বিদ্যালয় আছে ছাত্রছাত্রীদের অভাবে শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি এবং বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুরছেন। কারণ ছাত্র ছাত্রীর অভাবের জন্য বিদ্যালয়ের সাথে জুড়ে দেওয়া হতে পারে আগামীতে।
তবে প্রশ্ন একটাই ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য অভিভাবকদের অতি সচেতনতার মূল্য কিন্তু তারা আগামী দিনে দেবে?