মলয় দে নদীয়া :- একই রাতে একটি লোকনাথ মন্দির এবং দুটি জাগ্রত কালী মন্দিরের প্রতিমার গা থেকে সোনা এবং রুপোর বহু মূল্যের গয়না খুলে নিলো দুষ্কৃতীরা।
দুঃসাহসিক এই দুর্ঘটনা নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের, চৌগাছা পাড়া তারা মা মন্দির সংলগ্ন এলাকাবাসী আজ সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ প্রথম লক্ষ্য করেন, গ্রিলের নিচের অংশে একটি আস্ত ইঁট দিয়ে ফাঁক করা হয়েছে, আর সেখান থেকেই প্রবেশ করে কালীমাতা প্রতিমার সোনার নথ টায়রা টিপ আনুমানিক দু ভরি, হার-চিক বাজুবন্ধ, বেলপাতা এ ধরনের রূপোর গহনা ১৫ ভরির মতো, খোয়া গেছে। এলাকাবাসীর মধ্যে এক ব্যক্তি, রাত একটা নাগাদ ও মন্দির প্রাঙ্গনে এসেছিলেন, তখন এ ধরনের কিছু লক্ষ্য করা যায়নি, গতকাল রাধারানী নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তির ফরম তোলার জন্য শতাধিক মানুষজন সারারাত ছিলেন লাইনে। তার মধ্যে এ ধরনের চুরি দুঃসাহসিক।
এই মন্দিরের পেছন দিক দিয়ে যাওয়া চাঁদুনী পড়া সেকেন্ড লেনে কিছু পরিবার একত্রিত হয়ে লোকনাথ মন্দির স্থাপন করেছিলেন, চারিপাশে বাড়ি থাকা সত্ত্বেও মন্দিরের গেটে দু দুটি তালা মেরে রাখতেন তারা, কিন্তু গতকাল একটি তালা ভাঙ্গা অবস্থায় সেখানেই পড়েছিলো, অন্য একটি তালা খুঁজে পাওয়া যায়নি। লোকনাথ ঠাকুরের গা থেকে সোনার টিপ, লকেট আনুমানিক আধভরি, রুপোর হার ,চরণ পদ্ম এ ধরনের বেশ কিছু অলংকার আনুমানিক দেড় ভরি খোয়া যায় গতকাল মধ্যরাতের পর।
তারও কিছুটা দূরে, সাত নম্বর ওয়ার্ডের শেষপ্রান্তে ৩০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন, জোটে কালিমাতার গ্রিল তারা মা মন্দিরের মতো পদ্ধতিতে ইঁট দিয়ে ফাঁক করে, গহনা চুরি হয়েছে তবে এক্ষেত্রে। মায়ের সোনা এবং রুপোর বেশিরভাগ গহনায় কালীপুজোর দিন নিয়ে আসা হয়, পুজো শেষে তা সুরক্ষিত জায়গায় রাখা থাকে। তবুও একটি রুপোর বেল পাতা এবং দামি ইমিটেশনের বেশ কিছু গহনা পাওয়া যাচ্ছে না এখনো পর্যন্ত।
তিনটি ক্ষেত্রেই শান্তিপুর থানারপুলিশ দেখে গেছে এবং খোয়া যাওয়া অলংকারের তথ্য নিয়ে গেছে। তবে কোন মন্দিরেই সিসি ক্যামেরার নেই, বেশ কয়েক বছর আগে হলেও বেশ কয়েকবার চুরি হয়েছে প্রত্যেকটা মন্দিরেই। তবে আশেপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখার চেষ্টা করছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এভাবে একই রাত্রে তিনটি দুঃসাহসিক চুরি র ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে।