লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ ! স্টেট ব্যাংকের গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্র এবং এজেন্সি নেওয়া মালিকের বাড়িতে তালা

Social

মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের স্টেট ব্যাংকের মাজদিয়া গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ফেরার যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মাজদিয়া পূর্ণগঞ্জে । প্রতারিতরা অভিযোগ করেছেন কৃষ্ণগঞ্জ শাখার স্টেট ব্যাংক অল্পটাকা জমা নিতে চায়না। তারাই সব ব্যাংকের বাইরে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। গ্রামের মানুষ এতদিন ধরে সেখান থেকেই টাকা জমা ও তোলার কাজ করছিলেন। দিন সাতেক আগে দেখতে পান মাজদিয়ায় থাকা গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রটি তালা বন্ধ। তারপর তারা গ্রাহক পরিষেবার এজেন্সি নেওয়া মালিক শান্তনু কর্মকারের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তার বাড়িতে তালা দেওয়া। অভিযুক্ত বাড়ির লোকেদের নিয়ে ফেরার হয়েছেন। এরপর সব হারানো মানুষগুলো অসহায় ভাবে কৃষ্ণ গঞ্জের স্টেট ব্যাংকে যান । ব্যাংকের সামনে প্রচুর গ্রাহক জমা হন ।

সংবাদমাধ্যমের সামনে তারা তাদের ক্ষোভের কথা জানান । ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন । ব্যাংক ম্যানেজার প্রথমদিকে গ্রাহকদের কথা সেই রকম ভাবে কর্ণপাত করতে চাননি । সংবাদ মাধ্যমের পৌঁছানোর খবর পৌঁছাতেই ম্যানেজার তড়িঘড়ি সমস্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে আবেদন লিপিবদ্ধ করে ও রিসিভ কপি দিতে থাকেন । সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার চঞ্চল বিশ্বাসের কাছে এই ঘটনা জানতে চাইলে তিনি ঘটনা স্বীকার করলেও ক্যামেরার সামনে কোন মন্তব্য করতে চাননি । এমনকি সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে কৃষ্ণগঞ্জ শাখা স্টেট ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বলেন জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে । তদন্ত সংক্রান্ত ব্যাপার কথা বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন। শুধু বলেছেন আমরা কৃষ্ণনগর মেইন জায়গাতে সমস্তটা জানিয়েছি। তারাই সবটা বলবেন। তবে প্রতারিত গ্রাহকদের অভিযোগ ব্যাংকের তরফ থেকে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই শাখার ব্যাংক ম্যানেজার। প্রচুর মানুষ জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে অসহায়ের মত ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাঙ্কেও কি টাকা আত্মসাৎ হয়? গরীব মানুষ আউটসোর্সিং বোঝেন না। যদি আউটসোর্সিংয়ের হাল এমন হয় তাহলে ভাবতেই বুক ধরফর করছে। না জানি এই আউটসোর্সিংয়ের কুফল কত মানুষ ভোগ করবেন। এখন গ্রাহকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কবে তাদের মেহনতের পয়সা ফেরত পান সেই দিকে । তবে কান পাতলে এটাও শোনা যায় ব্যাংকের সাধারণ মানুষ কোন কাজ করাতে গেলে ব্যাংকের অফিসাররা জোর করে তাদের নামে জীবন বীমা করিয়ে দেন । মিনিমাম ১৫০০ টাকা এক বছরের জন্য । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্যই এই মত পোষণ করছেন গ্রাহকরা । ব্যাংক কি আদৌও এভাবে কাজ করতে পারে ?

Leave a Reply