মলয় দে নদীয়া:- কয়েক দিন আগেই নদীয়া জেলার শক্তি নগরের ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীদের টাকার বিনিময়ে রক্তের কারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলেছিল।অভিযুক্ত তিনজন সৃজন বাগচী, নীহার রঞ্জন ঘোষ ও কৌস্তভ কুণ্ডুকে শক্তিনগর থেকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বদলি করা হয়।
হাসপাতালের রক্ত পাচারকারী ও অর্থের বিনিময়ে রক্তের অসাধু কারবারির সাথে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী নীহার রঞ্জন ঘোষকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকে বদলি করে আনা যাবেনা। গতকালএই দাবীতে নবদ্বীপ হাসপাতালের সুপার সহ ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও নবদ্বীপ থানায় লিখিত আকারে স্মারকলিপি জমা দিল নবদ্বীপের একাধিক সামাজিক সংগঠন। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালসহ নবদ্বীপ পুলিশ প্রশাসন ও ব্লাড ব্যাংক প্রশাসনের কাছে লিখিত আকারে স্মারকলিপি জমা দিলেন স্থানীয় একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। তাদের দাবি, বিগত দিনে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সাধারণ মানুষের স্বার্থে তিন মাস অন্তর স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে প্রচুর পরিমাণে জীবনদায়ী রক্ত তুলে দেন নবদ্বীপ ব্লাড ব্যাংকের হাতে। পাশাপাশি স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সর্বদা তৎপর থাকেন এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। কিন্তু সব জেনেশুনে একজন রক্ত কেলেঙ্কারির সাথে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে স্থানীয় ব্লাড ব্যাংকে বদলি করা হলে আগামী দিনে সংগঠন একত্রিত হয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দেবে বলেও জানানো হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। অবিলম্বে প্রশাসন তাদের দাবি মেনে না নিলে পরবর্তীকালে আরো বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা বলে এই দিন জানান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
সৃজন বাগচীকে ট্রান্সফার করা হয় করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।
অন্যদিকে বগুলা হাসপাতলে একই রকম বিক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। শক্তিনগর ব্লাড ব্যাংক থেকে টেকনিশিয়ান হিসেবে বগুলা রুরাল হাসপাতালে অভিযুক্ত কৌস্তভ কুণ্ডুকে বদলির নির্দেশ যায়। এই বদলি হয়ে আসার সম্ভাবনা রুখতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা বগুলা রুরাল হাসপাতালের সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান এবং বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং করেন।
এই প্রসঙ্গে বগুলা এলাকার সামাজিক সংগঠনের মিলিত সদস্যরা জানান সাধারণ মানুষের জন্য জীবন বাঁচাতে আমরা রক্তদান করি আর এইসব নিকৃষ্টতম মানুষ টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করেন আমরা কখনোই তা মেনে নেব না। কৌস্তভ কুণ্ডুকে বগুলাবাসী চায় না।