মলয় দে নদীয়া :-নেতাজির গলায় মাল্যদান এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে একুশে অক্টোবর পালন নদীয়ার যুগবার্তা পরিবারের ।
১৯৪৩ এর ২১ শে অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ক্যাফে প্রেক্ষাগৃহে অস্থায়ী স্বাধীন ভারত সরকার তথা আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল কারাগারবন্দি সংগ্রামীদের মুক্ত করেন রাসবিহারী বসু, এবং তার দায়িত্ব নেস্ত করেন ভারত পথিক বীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর হাতে । মহিলা ব্রিগেট, গান্ধী বিগ্রেড, এমনকি জহরলাল ব্রিগেড পর্যন্ত গড়েছিলেন নেতাজী। অথচ তারাই পরবর্তী সময়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সমস্ত আত্ম বলিদান প্রকাশ্যে আনতে দেননি।
শুধু আজাদ হিন্দ সরকার গঠনই নয়, প্রতিবেশী বন্ধু নটি দেশ এই সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং সে দেশে ভারতীয় দূতাবাস তৈরি হয়। ব্রিটিশদের তাড়াতে দেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিতে তার এই সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ সরকারের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন একথা বলাই বাহুল।
কিন্তু প্রশ্ন হল স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সময় ভারতের স্বাধীন সরকার আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের যে ইতিহাস তাকে সঠিকভাবে সম্মান কি জানানো হয়েছে? বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য আজাদ হিন্দ বাহিনীর কথা স্বীকার করলেও নেতাজির সমস্ত ফাইল এখনো উন্মুক্ত করতে সমর্থ্য হননি।
দিকে দিকে নেতাজি অনুরাগীরা চান যথাসাধ্য মর্যাদায়, এই দিনটি পালিত হোক ঘোষিত হোক স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম।
নেতাজির অদম্য জাতীয়তাবাদী আত্মত্যাগকে দেশের আপামর জনতা , দেশের প্রশাসন, নেতা-মন্ত্রীরা কতটা সম্মান জানাতে পারলো এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন আপনারাই।
সারা ভারত নেতাজি সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষে গতকাল মালদহ জেলার কর্ণসুবর্ণ থেকে কলকাতার আই এম এ মেমোরিয়ালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন আজাদ হিন্দ চেতনা যাত্রা ।
রাজা শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ থেকে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই যাত্রার সূচনা হয়। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত মোট ছটি ভিন্ন এলাকায় তারা পথসভা করেন, নেতাজি সম্পর্কিত গোপন রাখা বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ্যে এনে। তাদের দাবি নেতাজির যথাযোগ্য মর্যাদা তাঁর চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক সরকার।