নন্দীগ্রামঃ নন্দীগ্রাম। নামটা কমবেশি সকলের জানা। একসময় বোমা গুলির শব্দে ঘুম ভাঙত। সময়ে সাথে সাথে নন্দীগ্রামকে ঘিরে নানা স্মৃতি রয়েছে। আর সেই নন্দীগ্রামেই এবার স্থানীয় মৎস্যজীবীদের স্বনির্ভর করতে নন্দীগ্রাম ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে নন্দীগ্রাম একুয়া ফার্মার্স ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় ও সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন সংস্থা (MPEDA- NaCSA) সহযোগীতায় কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য ঈষদ নোনা জলের বাণিজ্যিক মাছ , চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষ বিষয়ক মত বিনিময় সভা আয়োজিত হলো বৃহস্পতিবার।
এদিনের আলোচনা সভার শেষে পুকুর ভেড়িতে মাছ ও চিংড়ির সাথে সাথে অভিনব বক্স-ক্রাব- পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ সহ বিস্তির্ণ নন্দীগ্রাম এলাকার অপার সম্ভবনার বানিজ্যিক জলজ চাষের ক্ষেত্র গুলি ঘুরে দেখেন এবং মাছ চাষিদের সাথে মত বিনিময় করেন নন্দীগ্রাম ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমিতা সেনগুপ্ত, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি ও ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু।
এলাকার ৫০ জন মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া চাষি মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। মাছ চাষি সেখ নাজমুল হোসেন, অনুপ কুমার মন্ডল , সঞ্জয় মাইতি, মেহেরাজ আলি খান, মীর জানে আলম প্রমুখ চাষি বলেন ব্লক মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে একেবারে ফিল্ডে এসে মাছ- চিংড়ি-কাঁকড়া চাষিদের সাথে কথা বলা ও চাষের ক্ষেত্র গুলি সরিজমিন দেখায় নন্দীগ্রাম এলাকার মাছ চাষিরা উৎসাহিত ও আনন্দিত।
মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, বিক্ষিপ্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাছচাষিদের একত্রিত করে চাষের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সরকারি প্রকল্প রূপায়নের মাধ্যমে টেকসই চাষআবাদ এবং সরকারি নজরদারির মাধ্যমে সুষ্ঠু জলজ চাষের মাধ্যমে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নই লক্ষ্য।
নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি বলেন ইতিমধ্যে কেরালার জনপ্রিয় ক্যারিমীন মাছের পরীক্ষামূলক চাষ মাছ চাষিরা শুরু হয়েছে, মাছ চাষিদের নিয়ে মৎস্য উৎপাদক গোষ্টি গঠিত হচ্ছে, আগামীতে ব্লক মৎস্য বিভাগের তত্বাবধানে আরো নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
মাছচাষিদের প্রশাসন পাশে থাকার বার্তা দেন নন্দীগ্রাম ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমিতা সেনগুপ্ত