মলয় দে নদীয়া:- করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন আর্থিক উপার্জনে ভাটা পড়েছিলো সাধারণ মানুষের। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর প্রত্যেকেই ব্যস্ত সেই ঘাটতি পূরণ করতে।তার মধ্যেই শান্তিপুর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাইগাছি পাড়া আরএন ঠাকুর রোড এবং কিনুমুন্সি লেনে প্রায়শই লেগে থাকছে চুরির ঘটনা। এলাকায় দুই একজনের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ রাতের অন্ধকারে অস্পষ্ট হলেও গতকাল ওই চোরের মুখমন্ডলের স্পষ্ট ভিডিও পাওয়ার পর প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায় বাই গাছি পাড়ার ওই দুই এলাকায় আগে প্রথম চুরির ঘটনা ঘটে অনুপম দেবনাথের বাড়িতে, সাইকেল নগদ টাকা সোনার গহনা চুরি যাওয়ার পর সর্বশ্রান্ত হন তিনি । লিখিত অভিযোগ জানালে শান্তিপুর থানার পুলিশ মধ্যরাতে একাধিকবার রাত্রে এসেছেন ওই এলাকায়, তাদের সিদ্ধান্ত মতোই এলাকার প্রতিটি বাড়ি থেকে পাহারায় থাকা মানুষজনের সঙ্গে দেখা করেন তারা। তাঁত শ্রমিক এবং ছোটখাট ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে রাত জেগে এভাবে মাসের পর পর মাস সারা রাত পাহারা দেওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে আবারও এটি শীতলা মন্দিরে র তালা ভেঙে প্রতিমার প্রণামী বাক্স এবং দুই একটি রুপোর গহনা নিয়ে গেছে, তবে সোনার গহনা মন্দিরে না থাকার কারণে তারা নিতে পারেনি ।ঐ রাতেই মনীষা ঘোষের বাড়িতে তছনছ করে পিতলের থালা বাসন এবং অন্যান্য গৃহস্থালির কিছু জিনিস নিয়ে গেছে তারা, কিছু না পেয়ে পাশে দূটি বাড়ির বাইরে থেকে দরজা দিয়ে দেয়। যার ফলে সারা রাত বাইরের শৌচালয় ব্যবহার করতে পারেনা ওই দুই পরিবারের সদস্যরা।
দুদিন আগে আরতি দত্তের পাশের ঘরে তার বৌমা ছেলেকে নিয়ে একা থাকে, গ্রিলের দরজার কপাট কেটে বেশ কিছু দৈনন্দিন ব্যবহার সামগ্রী নিয়ে যায়। অপর এক বাসিন্দা সুশীল দাস জানালেন, পাশের বাড়ির শেখর দাসের বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার কারণে রাতের অন্ধকারে জামা কাপড় রাখার ট্রাঙ্ক পিতলের কলসি এবং অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।
তবে সকলেই সিসি ক্যামেরায় স্পষ্ট ওই ছবি সকলকে দেখিয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি চোরের পরিচয় সম্পর্কে।
এলাকার সকলের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ রাতের অন্ধকারে, ওই চোরের সাথে আরও দু এক জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এভাবে প্রতিটি বাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর কারণে।
স্থানীয় কাউন্সিলর প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে শান্তিপুর থানার ওসির সাথে কথা হয়েছে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন ওই ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী।